বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
কর্মবিরতিতে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা

নিত্যপণ্যের ওপর আরও চাপ বাড়ার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা। নৌযান শ্রমিকদের একটি অংশ খোরাকি ভাতাসহ ১৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাত ১২টায় এ কর্মসূচি শুরু করেন। গতকাল সকালে সদরঘাট টার্মিনালে গিয়ে বিপাকে পড়েন শত শত যাত্রী। দুপুরে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করায় যাত্রীবাহী নৌযান চলা স্বাভাবিক হলেও পণ্যবাহী নৌযান বন্ধই থাকতে দেখা গেছে। এতে নতুন করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, নৌযান শ্রমিকদের মূল সংগঠন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন আগামী শুক্রবার রাত ১২টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। ১২ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ১১ দফা দাবিতে এ কর্মসূচির ডাক দেয় সংগঠনটি। এ সংগঠনটি কর্মসূচি আহ্বানের পর গতকাল কোনো ঘোষণা ছাড়া নৌ শ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদ নামে নতুন একটি সংগঠন কর্মবিরতির ডাক দেয়। যে সংগঠনটি ১০ নভেম্বর যাত্রা করে। এ কর্মবিরতির ফলে দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়; যাতে সারা দেশের পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ কর্মবিরতির প্রভাব পড়বে সামগ্রিক নিত্যপণ্যের বাজারে। এমনিতেই সারা দেশে পিয়াজ, চাল, কাঁচা সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি। এর মধ্যে হঠাৎ এ কর্মবিরতিতে আবারও এসব পণ্যের দর বাড়তে পারে বলে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ধর্মঘটে গতকাল সারা দেশে যাত্রী ও পণ্য বাহী নৌযান চলা বন্ধ হয়ে যায়। এদিন ভোর ৬টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৪১ রুটে কোনো নৌযান না চলায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। অনেকেই সদরঘাট গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করে ফিরে যান। তবে দুপুর ১২টার কিছু পর নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহার হয় বলে জানান ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্মপরিচালক কে এম আরিফ উদ্দিন। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে ও চরমোনাই পীরের মাহফিল থাকায় দুপুর ১২টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় সংগঠনটি।

এরপর লঞ্চ চলা স্বাভাবিক হয়।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নবী আলম গণমাধ্যমে বলেন, শ্রমিকদের মূল সংগঠনের কর্মবিরতি কর্মসূচি বানচাল করতে মালিকদের সমর্থনপুষ্ট ঐক্য পরিষদ হঠাৎ কর্মবিরতি শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে নৌযান শ্রমিকরা না থাকায় নৌযান চলায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর