রাজাকার-আলবদরদের তালিকা প্রকাশের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানালেও প্রায় ৫০ বছর লেগে যাওয়ার সমালোচনা করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। গতকাল বিজয় দিবসের সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি বলেন, ‘যারা এই জঘন্য অপরাধ (পাকিস্তানিদের পক্ষাবলম্বন) করেছে, তাদের দোষী হিসেবে চিহ্নিত করে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরে কেন রাজাকারদের তালিকা? এ সরকার তো ১০ বছর ধরে আছে। এতদিন কী হলো? এ ১০ বছরে কেন এটা সম্ভব হলো না?’ প্রসঙ্গত, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে নানাভাবে সহায়তাকারী ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের প্রথম তালিকা রবিবার প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। স্বাধীনতাকে বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে বর্ণনা করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, এই স্বাধীনতা এসেছিল জনগণের ঐক্যের শক্তিতে। স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে এখনো সেই ঐক্য প্রয়োজন। সংকট মোকাবিলায় দেশে সুষ্ঠু রাজনীতির প্রয়োজন আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য, জনগণের ঐক্য ছাড়া জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়। বিভক্তির রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি বিভাজিত হয়ে থাকি, তাহলে যারা শোষণ করতে চায়, দুর্নীতি করতে চায়, তারা পেয়ে বসবে। বিভক্তির রাজনীতি হলে মানুষের মধ্যেও বিভক্তি সৃষ্টি হয়, আমরা একে অন্যের পেছনে লেগে থাকি, কিন্তু মূল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করি না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, সংবিধানের মূলনীতির মধ্যে গণতন্ত্র এক নম্বর। সেটা কার্যকর করতে দরকার অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন; সেটা কিন্তু হচ্ছে না। রাজনীতি থেকে কালো টাকা সরানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে কালো টাকার যে অভিশাপ ঢোকানো হয়েছে, তা সুস্থ রাজনীতিকে নষ্ট করে দিচ্ছে। টাকা দিয়ে আমরা ভোট কিনছি, ভোটবাক্স ভর্তি করছি।