বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

তৃণমূলের চাপ থাকলেও বড় কর্মসূচি দিচ্ছে না বিএনপি

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি

শফিউল আলম দোলন

তৃণমূলের প্রচণ্ড চাপ থাকলেও আন্দোলনের বড় কোনো কর্মসূচি দিতে পারছে না বিএনপি। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কেবল প্রস্তুতির কথাই বলে যাচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতার কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন। দুই দিন আগে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের (স্কাইপের মাধ্যমে) সভাপতিত্বে বৈঠকেই এ সিদ্ধান্ত হয়।

জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তি উপলক্ষে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের সমাবেশসহ যেসব কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো পালন করা হবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে। বিক্ষোভ, মানববন্ধন, সভা-সমাবেশসহ সবই থাকবে এসব কর্মসূচিতে। তবে মধ্য ফেব্রুয়ারির পরে দুই বা এক দফা কর্মসূচিতে যেতে পারে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নেতারা মনে করছেন, আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার কারামুক্তির আশা নেই। এ অবস্থায় দলের সবাই বলছেন, আন্দোলনের বিকল্প নেই। রাজপথের আন্দোলন ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি হবে না। কিন্তু কার্যত কোনো কর্মসূচি নেই। কেন্দ্রীয় নেতাদের কারও মাঠে নামার আগ্রহ নেই বলে অনেকের ধারণা। এ ব্যাপারে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আপাতত কৌশলগত কারণে বড় কোনো কর্মসূচি দেওয়া না হলেও তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। তারপর প্রস্তুতিরও ব্যাপার আছে। সবকিছু নিয়েই কর্মসূচির কথা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কার্যকর কর্মসূচি দেওয়া হবে, এটা নিশ্চিত। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও একই অভিমত ব্যক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নীতিগতভাবে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৌশলগত কারণেই আপাতত সময় নেওয়া দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, টানা ২২ মাস কারাগারে আছেন বিএনপি প্রধান। তাঁর মুক্তির দাবিতে এ সময়ের মধ্যে কোথাও একটা বড় সমাবেশ পর্যন্তও করতে পারেনি দলটি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বড় কর্মসূচি ঘোষণা করতে না পারায় দলের তৃণমূলে যথেষ্ট ক্ষোভ আছে। তাদের মতে, কেন্দ্রীয় নেতারা রহস্যজনক কারণে বড় কর্মসূচি দিচ্ছেন না। স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নেত্রীকে’ মুক্ত করতে রাজপথের আন্দোলনের বিকল্প নেই। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, আন্দোলন তো অব্যাহতই আছে। এটাকে আরও জোরদার করতে হবে। সারা দেশে একযোগে এমন কর্মসূচি পালন করতে হবে, যাতে করে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর