রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কেউ যেন ধর্মকে অপব্যবহার করে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। এ ব্যাপারে তিনি সজাগ থাকতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান। বাসস। রাষ্ট্রপতি গতকাল বঙ্গভবনে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার সময় এ আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম আমাদের আলোর পথ দেখায় এবং অন্যায়, পাপ, অন্ধকার থেকে দূরে রাখে। তাই ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যেন নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাই সজাগ থাকবেন।’ যুবকদের যেন কেউ ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে না পারে সেজন্য বিশেষ নজর রাখতে রাষ্ট্রপতি অভিভাবকদের আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের এই অর্জন সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফসল। তিনি ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি খ্রিস্টানদের পবিত্র উৎসবে তাদের সুখ, সমৃদ্ধি ও আনন্দময় ভবিষ্যৎ কামনা করেন। রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গভবনে বড়দিন উপলক্ষে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে সেখানে একটি ক্রিসমাস গাছ রোপণ ও মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও, কূটনৈতিক কোরের ডিন আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মিশনের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তি, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় একদল সংগীত শিল্পী বড়দিনের গান পরিবেশন করে। পরে রাষ্ট্রপতি বড়দিনের কেক কাটেন।