২০১৬ সাল থেকে ঠিকানাবিহীন মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয় কিংবা সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বাসাবাড়িতেই বৈঠক করেন তারা। আর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ ও তাঁতী লীগ বাসা ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করছেন সাংগঠনিক কার্যক্রম। তবে এ অবস্থার অবসান হতে চলেছে। কয়েকদিনের মধ্যেই স্থায়ী ঠিকানা পাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও দুটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে তাদের জায়গা। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কার্যালয় বণ্টন করার বিষয়টি দেখভাল করছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। দলে একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি ভেঙে নতুন ভবনের কাজ শুরু করা হয়। এর আগে এ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ আট সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় ছিল। কার্যালয়টি ভেঙে ফেলার পর আট সহযোগী সংগঠনের মধ্যে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ, ছাত্রলীগ কার্যালয় ভাড়া নিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করে। অফিস ভাড়া নেওয়ার তাগিদ থাকলেও নানা কারণে অফিস নেয়নি মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ। ফলে তারা সংগঠনের যে কোনো বৈঠকের জন্য ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয় কিংবা সংগঠনের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের বাসাবাড়ি ব্যবহার করে আসছে। এ প্রসঙ্গে যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় মাঝেমধ্যে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয় কিংবা নিজেদের বাসাবাড়িতে সম্পাদকম লী বা সভাপতিমন্ডলীর বৈঠক করে থাকি। আমাদের নিজস্ব অফিস থাকা জরুরি। বিষয়টি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টিতে এনেছি।’ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নিজ বাসাকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করছি। যেহেতু নিজস্ব কার্যালয় নেই, তাই কাগজপত্র ঠিক রাখতে নিজ ঘরই ভরসা। তবে মাঝেমধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয় ও নির্বাচনী অফিস ব্যবহার করে থাকি।’ ২০১৮ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের অত্যাধুনিক নতুন কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ তলাবিশিষ্ট এ ভবনে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মধ্যে কেবল ছাত্রলীগকে একটি অফিস দেওয়া হয়। অন্য কোনো সংঠনকে অফিস দেওয়া হয়নি। গণভবন ও আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান আওয়ামী লীগের নতুন ভবনটির সর্বোচ্চ ব্যবহার হোক। সে জন্য সহযোগী সংগঠনের জন্য অফিস বরাদ্দ করতে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নিজস্ব ডাটাবেজ থাকুক। সে কারণে স্থায়ী কার্যালয়ে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’