চমকে যাওয়ার মতোই খবর। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন রেজাউল করিম চৌধুরী।
বর্তমান মেয়রসহ ১৯ জন প্রার্থীকে ডিঙ্গিয়ে দলের মনোনয়ন পাওয়া কে এই রেজাউল করিম চৌধুরী? কি তাঁর রাজনৈতিক অতীত? এমন প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তৃণমূল থেকেই উঠে এসেছেন এই নেতা। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময়েও অবিভক্ত পাকিস্তান ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। ’৭০-এর নির্বাচনের সময় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন তিনি। এরপর মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং অবিভক্ত জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ’৭৫ পরবর্তী সময়ে জিয়া-এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকা এই নেতা সম্পৃক্ত ছিলেন আবদুর রাজ্জাকের বাকশালেও। তিনি ’৯১ সালে বাকশালের হয়ে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেন চান্দগাঁও-বোয়ালখালী সংসদীয় আসন থেকে। সম্প্রতি একই সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। ’৯৪ সালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটির সদস্য হন। পরবর্তীতে তিনি যথাক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক হন।? চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটের ঐতিহ্যবাহী বহদ্দার বাড়ির এই সন্তান চট্টগ্রাম কাস্টমস সুপারেন্টেন্ড হারুনুর রশীদ চৌধুরীর পুত্র।? দীর্ঘকালীন ত্যাগের পুরস্কার হিসেবে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নে আপ্লুত রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিশ্বাসের মর্যাদা তিনি রাখবেন। নৌকার বিজয়ে নির্বাচনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধও জানান এই মেয়র প্রার্থী। অন্যদিকে বর্তমান মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন তাঁর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্য নির্বাচনে কাজ করে যাবেন বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান।
