সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভের আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করে বলেছেন, তার বাহিনী এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। শুক্রবার ডেইলি সানের সঙ্গে কথা বলার সময় জেনারেল আজিজ আহমেদ আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমান নেতৃত্বে সেনাবাহিনী যথাসম্ভব কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী যতক্ষণ সরকার চায় ততক্ষণ নাগরিক সেবায় সহায়তা প্রদান করবে। সেনাপ্রধান বলেন, বেসামরিক প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষ অত্যন্ত উৎসাহী এবং করোনাভাইরাস হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি এবং সহায়তার কারণে তারা মানসিকভাবে স্বস্তি পেয়েছে বলে মনে হয়। তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেছেন, ‘ইনশা আল্লাহ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।’ উল্লেখ্য, দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সোমবার সিভিল প্রশাসনের সহায়তায় সশস্ত্র বাহিনীকে কাজে লাগায়। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী বাংলাদেশ জুড়ে কাজ করছে। সবাইকে বাড়ির অভ্যন্তরে থাকতে সচেতন করছে। এদিকে প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ পৃথকভাবে ডেইলি সানকে বলেন, সেনাবাহিনীর প্রায় তিন হাজার এবং নৌবাহিনীর ৪০০ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে বিমান বাহিনী মেডিকেল এইডের কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘সরকারি নিষেধাজ্ঞার আদেশ অনুসারে জনসাধারণকে ঘরে বসে থাকার নির্দেশনা মেনে রাস্তায় রাস্তায় সহায়তা করে আসছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। তিনি আরও যোগ করেন, রিকশাচালকদের মতো সাধারণ মানুষের মানবিকতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের সহায়তা করা হচ্ছে, যাতে তাদের কষ্ট না হয়। আন্তবাহিনী জনসংযোগ অধিদফতরের পরিচালক লে. কর্নেল জায়েদ উল্লেখ করেন, ‘যাদেরকে নিযুক্ত করা হয়েছে তারা প্রয়োজনে চিকিৎসা জরুরি পরিস্থিতিতেও সাড়া দেবে।’
তিনি বলেন, ‘এই কর্মীরা জীবন সংকটের মুহূর্তে জাতিকে সাহায্য করার জন্য পরিবারকে পেছনে ফেলে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে... পর্যায়ক্রমে নতুন ব্যাচগুলো পুরনোদের প্রতিস্থাপন করবে, তাদেরকে সুরক্ষার জন্য ব্যারাকগুলোতে ফিরে যাওয়ার পরে তাদের পৃথক করা হবে।’