বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন কোথায়

সাখাওয়াত কাওসার

রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন কোথায়

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্যতম আসামি রিসালদার মুসলেহউদ্দিন কোথায়- কোনো দেশই এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেনি। তবে পলাতক আরেক খুনি ক্যাপ্টেন (বহিষ্কৃত) আবদুল মাজেদকে গ্রেফতারের পর মুসলেহউদ্দিনের অবস্থানের বিষয়ে জট খুলতে শুরু করেছে। রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে সোমবার রাতে মাজেদকে গ্রেফতারের পর সংশ্লিষ্টরা অনেকটাই নিশ্চিত যে মুসলেহউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেই অবস্থান করছেন। যদিও পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখা থেকে কয়েক বছর ধরে ভারত এবং পাকিস্তানের কাছে ইন্টারপোলের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হলেও এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর পায়নি কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এনসিবি) মহিউল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমাদের ধারণা মুসলেহউদ্দিন ভারত কিংবা পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা দফায় দফায় ওই দুটি দেশকে চিঠি লিখেছি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সর্বশেষ গ্রেফতার আবদুল মাজেদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল মুসলেহউদ্দিনের। সম্প্রতি ভারতে এনআরসি এবং করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হলে তারা দুজনই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বেকায়দায় পড়ে ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। মাজেদ বেশ কিছু দিন পাঞ্জাবে অবস্থান করলেও স্বস্তিতে ছিলেন না। সেখানেও সুবিধা করতে পারেননি। অবশেষে করোনাকে পুঁজি করেই গত ২৬ মার্চ সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢোকেন। পরে একাধিকবার রুট পরিবর্তন করে ঢাকায় চলে এলেও ধরা পড়ে যান গোয়েন্দা জালে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পলাতক আর ৪ আসামির একজন মেজর (অব.) নূর চৌধুরী কানাডায় ও লে. কর্নেল (অব.) রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় অবস্থান করছেন। রশিদ ও ডালিমের বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে। তবে তারা ইউরোপ কিংবা আফ্রিকার কোনো দেশে অবস্থান করছেন। তাদের ধরতে ইন্টারপোল রেড নোটিস জারিও অব্যাহত রেখেছে। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়। মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত মেজর এ কে বজলুল হুদা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর এ কে এম মহিউদ্দিন। বাকি সাতজনের মধ্যে আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে রাজনৈতিক আপ্রয়ে থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের ২ জুন মারা যান বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়।

সর্বশেষ খবর