গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট উৎপাদনের কাঁচামাল এসেছে ইংল্যান্ড থেকেও। গতকাল বিকালে এই কাঁচামাল বুঝে পায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সমস্যার কারণে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট সরকারকে হস্তান্তর করতে পারেনি। তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমস্যা অনেকটাই সমাধানের পথে। বৈদ্যুতিক ও কারিগরি ত্রুটি অনেকটাই সমাধানের পথে। দু-তিন দিনের মধ্যে সরকারকে কিট হস্তান্তর করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানান, কভিড-১৯ পরীক্ষায় কিট তৈরিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাঁচামালের একটি অংশ চীন থেকে বাংলাদেশে আগেই এসে পৌঁছে। তবে ইংল্যান্ড থেকে কাঁচামাল আসে গতকাল বিকালে। সরকারের ‘সবুজ সংকেত’ পেলে ১৫ এপ্রিল থেকে বড়পরিসরে কাজ শুরু করার চিন্তাভাবনা করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। ‘র্যাপিড ডট ব্লট’ নামের এই পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য খরচ হবে মাত্র ৩০০-৩৫০ টাকা। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে শুক্রবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, এটা কোনো ষড়যন্ত্র কি না তাও বুঝতে পারছি না। সবকিছু প্রস্তুত ছিল। এ সময় হঠাৎই কিট উৎপাদনে বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তাই কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে দু-তিন দিনের মধ্যে সরকারকে কিট হস্তান্তর করতে পারব।