বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সরকারকে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ কিট দিতে চাই

-ডা. জাফরুল্লাহ

মাহমুদ আজহার

দ্বিতীয় দফায় আগামী সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিট হস্তান্তর করার চিন্তাভাবনা করছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। মাঝে বৈদ্যুতিক গোলযোগ ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে কিট দিতে পারেনি এ সংস্থাটি। তবে এবার সবকিছু প্রস্তুত প্রায়। কিছু ত্রুটি থেকে শিক্ষাও নেওয়া হয়েছে। সরকার যদি ট্যাক্স না ধরে তাতে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় এ কিট পাওয়া যাবে।

মাত্র পনের মিনিটেই কভিড-১৯ আছে কিনা- পরীক্ষা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগামী সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে সরকারকে কিট হস্তান্তর করার চিন্তাভাবনা করছি। এ জন্য সবকিছুই দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক যে ত্রুটিগুলো ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে। আমরা সরকারকে অনেক বেশি পরিমাণ কিট দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এরই মধ্যে আমাদের অনেক কিট নষ্ট হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সরকারের অনুমোদন পেলে আমরা আপাতত এক লাখ কিট উপহার দিতে চাই। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, চীনের পর ইংল্যান্ড থেকেও কিট উৎপাদনে কিছু কাঁচামাল চলে এসেছে। এখন আমরা রক্তের স্যাম্পল নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিট উৎপাদন করছি। আমরা সরকারকে প্রাথমিকভাবে এক লাখ কিট দিতে চাই। পরে বড় পরিসরে কাজের সুযোগ পেলে ও সরকার বা কেউ আর্থিক সহযোগিতা করলে আমরা প্রায় দুই কোটি কিট তৈরি করতে সক্ষম। এ জন্য চাই সরকারের কাছে কিছু আর্থিক সহযোগিতা। প্রয়োজনে আমার ধানমন্ডির বাড়িটি লিজ দিয়ে হলেও ব্যাংক ঋণ চাই। তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়ে কিট পৌঁছে দেওয়া। সামান্য একদিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই সবাই যাতে কভিড-১৯ এটা পরীক্ষা করতে পারেন। যত পরীক্ষা হবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল হবে। রোগ শনাক্ত করা গেলে দেশের প্রকৃত চিত্র জানা যাবে এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণও করা যাবে। আমাদের কিটে মাত্র ১৫ মিনিটেই পরীক্ষা করা সম্ভব করোনা আছে কিনা। এর দাম পড়বে সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। বর্তমান করোনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে খাবার নিশ্চিত করতে না পারলে সবাই রাস্তায় নেমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাঘ যেমন বনে খাবার না পেলে লোকালয়ে চলে আসে, ঠিক তেমনি মানুষের ঘরে খাবার না থাকলে তারা রাস্তায় এসে পড়বে। এ জন্য লকডাউন চলাকালে দরিদ্র শ্রেণির খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ মুহূর্তে তাদের মৌলিক অধিকার আদায় করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারিভাবে দানশীলদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্যের উদ্যোগে আমরা ১০ হাজার মানুষকে খাবার বিতরণ করেছি। আমরা আরও অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাবার দিতে চাই। প্রত্যেক দরিদ্রের বাড়িতে মাসে একটি রেশন পৌঁছে দিতে চাই। এ জন্য সরকারসহ বিত্তবান শ্রেণির কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা হতদরিদ্র শ্রেণির বাসা-বাড়িতে গিয়ে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।

সর্বশেষ খবর