বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার সংক্রমণ ৫৭ জেলায়

নারায়ণগঞ্জ থেকে ছড়িয়েছে ২১টিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ৫৭ জেলার মানুষের মধ্যে। আর এর মধ্যে ২১ জেলায় ভাইরাস ছড়িয়েছে শুধু নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া লোকজনের মাধ্যমে। আক্রান্ত অন্য জেলার মধ্যে কয়েকটিতে সংক্রমণ হয়েছে ঢাকা ও গাজীপুর থেকে যাওয়া করোনা রোগীর মাধ্যমে। বেশ কয়েকটি জেলার সংক্রমণের কারণ এখনো অস্পষ্ট।  সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম তিন করোনা রোগী শনাক্ত  হয়। এই তিনজনের দুজন ইতালি থেকে দেশে এসেছিলেন। তাদের মাধ্যমেই তৃতীয় ব্যক্তির সংক্রমণ হয়। এই তিনজনই নারায়ণগঞ্জের। এরপরই ঢাকা মহানগরীতে কভিড-১৯ শনাক্ত হয়। সেই থেকে গতকাল পর্যন্ত দেশের ৫৭ জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। নতুন করে করোনা রোগী পাওয়া গেছে বান্দরবানে। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুবের উপজেলা থানচিতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রথম একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। আক্রান্ত ৩৮ বছরের ওই ব্যক্তি দুর্গম বড় মদক এলাকার। সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মারমা জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি বান্দরবান সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে আছেন। আক্রান্তের ছোট ভাই যিনি নিজেও হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে আছেন মোবাইল ফোনে জানান, গত ১০ এপ্রিল বড় মদকের বাড়িতে তার ভাইয়ের জ্বরের উপসর্গ দেখা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা গতকাল বলেছেন, সারা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭২ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৭৩ শতাংশই ঢাকা বিভাগের। ঢাকা বিভাগের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারে তিনি বিশেষভাবে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৯ জন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩৬৪ জন। নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন। নারায়ণগঞ্জে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬৮১ জন, এর মধ্যে ৫৮১ জন কোয়ারেন্টাইনমুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৮৩ জন।’

করোনার থাবা সবচেয়ে বেশি পড়েছে রাজধানী ঢাকা মহানগরীতে। এ বিভাগটিতেও আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। আর করোনার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে কম খুলনা বিভাগে। গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭২ জন। এদের মধ্যে গাজীপুর ২৬৯, কিশোরগঞ্জ ১৪৬, নরসিংদী ১৩৬, ময়মনসিংহ ৬৩, মুন্সীগঞ্জ ৬১, চট্টগ্রাম ৪২, গোপালগঞ্জ ৩৫, বরিশাল ৩৪, জামালপুর ২৯, মাদারীপুর ২৭, কুমিল্লা ২৬, লক্ষ্মীপুর ২৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৪, নেত্রকোনা ২২, শেরপুর ১৯, বরগুনা ১৭, টাঙ্গাইল ১৫, গাইবান্ধা ১৩, হবিগঞ্জ ১৩, দিনাজপুর ১৩, শরীয়তপুর ১১, নীলফামারী ১০, রাজবাড়ী ১০, চাঁদপুর ১০, পটুয়াখালী ১০, মানিকগঞ্জ ৯, রংপুর ৯, রাজশাহী ৯, ঠাকুরগাঁও ৮, নড়াইল ৭, ফরিদপুর ৬, কক্সবাজার ৫, ঝালকাঠি ৫, পিরোজপুর ৫, বগুড়া ৫, যশোর ৫, সিলেট ৪, খুলনা ৪, নোয়াখালী ৪, বান্দরবান ৪, জয়পুরহাট ৪, কুড়িগ্রাম ৩, ফেনী ৩, পাবনা ৩, চুয়াডাঙ্গা ২, মৌলভীবাজার ২, লালমনিরহাট ২, পঞ্চগড় ২, সিরাজগঞ্জ ২, মেহেরপুর ২, কুষ্টিয়া ২, সুনামগঞ্জ ১, বাগেরহাট ১, নওগাঁ ১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১, মাগুরা ১ এবং বান্দরবান ১। এ ছাড়া ঢাকা সিটিতে ১ হাজার ৫২৩ জন আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর