পাবনায় ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক উমাইর নূর রায়হান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় মুনাতাজ আলী নামে এক যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
পাবনা : পাবনার পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক উমাইর নূর রায়হান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপুর (সিএনজি পাম্প) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে নতুন রূপপুর গ্রামের ফুটবল মাঠ এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। উমাইর নূর রায়হানের মামা আজিজুল হক জানান, রাতে নতুন রূপপুর এলাকা দিয়ে উমাইর নূর রায়হান ও তার বন্ধু তুহিন নিজ বাড়ির দিকে আসছিল। এ সময় পিছন থেকে কে বা কারা উমাইর নূরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। একটি গুলি তার কোমরে এসে লাগে। পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুল জানান, রায়হান বিশেষ কাজে মোটরসাইকেল যোগে পাকশী পুলিশ ফাঁড়িতে যাচ্ছিল। পথে পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হাসানকে নেওয়ার জন্য তার বাড়ির সামনে যায়। সেখানে মোটরসাইকেল থামিয়ে মিরাজকে ফোনে কথা বলার সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এসে পেছনে কোমরের নিচে গুলি করে পালিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামে মুনাতাজ আলী (৩৬) নামে এক যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মুনাতাজের বাম হাত ও মাথাসহ শরীরের কয়েকস্থানে জখম হয়েছে। সে তালতলা স্কুলপাড়ার আবদুল মজিদের ছেলে। স্বজনরা জানান, মুনাতাজ যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত মুনাজাত আলীকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।আহত মুনাজাত আলী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মামুন নামে এক যুবকের সঙ্গে তালতলা গ্রামের তেঁতুলতলাপাড়ায় একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় একই পাড়ার তানভীর, হাবিব, সজিব, আশিকসহ ৭/৮ জন তাদের ডাক দেয়। সেখানে গেলে মুনাজাতকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল আর সালাম বলেন, মুনাজাত আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তার বাম হাতের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।