জ্বর-সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে দেশের তিন জেলায় আরও চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুজন, বাকিরা যশোরের। মৃতদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লকডাউন করা হয়েছে তাদের বাড়ি। পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সর্দি-কাশি-জ্বর, শ্বাসকষ্টে মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় অনেকেরই করোনা পজিটিভ আসছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত ২৫ দিনে সারা দেশে করোনা উপসর্গ নিয়ে অন্তত ২৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য-
সিলেট : বৃহস্পতিবার রাতে সর্দি-জ্বর-কাশি নিয়ে আবদুল জব্বার (৪৫) শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানান, মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : কসবায় বৃহস্পতিবার বিকালে শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে শরীফুল ইসলাম রনির (২৮) মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের মৃত আলী আজমের ছেলে ও স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের খ-কালীন শিক্ষক। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। গ্রামটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।যশোর : করোনা উপসর্গ নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট নিয়ে একই হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা আরেক বৃদ্ধেরও মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে মৃত দুজনই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হতে লাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।