দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯০ জন, মারা গেছেন তিনজন। এ নিয়ে করোনায় মোট ১৮৬ জনের মৃত্যু হলো। এ ভাইরাসে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৭১৯ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাসবিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ হাজার ৭৭১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৬ হাজার ২৪১টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৯৯ হাজার ৬৪৬টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৭৯০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটি আগের ২৪ ঘণ্টার সংখ্যাকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৭১৯ জন। আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে মোট ১৮৬ জনের মৃত্যু হলো। নতুন করে যারা মারা গেছেন তার মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। দুজন ঢাকার ও একজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা। তাদের দুজন ষাটোর্ধ্ব ও একজন চল্লিশোর্ধ্ব। মঙ্গলবারের বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৭১১টি নমুনা পরীক্ষায় ৭৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে একজনের। সে হিসাবে গতকালের বুলেটিনের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, নমুনা পরীক্ষা যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। বেড়েছে মৃত্যুও। বুলেটিনে ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ১৮৪ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৭৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৯৪ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৮৮৯ জনকে। এ পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৭০০ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৭২ জন এবং এ পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৬১ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪১ হাজার ১৯৩ জন। সারা দেশে কোয়ারেন্টাইনের যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতে একসঙ্গে সেবা দেওয়া যাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে। রাজধানীসহ সারা দেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৮ হাজার ৫৯৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ২ হাজার ৯০০ এবং রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৫ হাজার ৬৯৪টি। এসব হাসপাতালে আইসিইউ বেড আছে ৩৩০টি ও ডায়ালাইসিস ইউনিট ১০২টি।