আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়ই এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ছয় দফা ছিল সূচনার কেন্দ্রবিন্দু। অর্থাৎ ছয় দফার সাঁকো পেরিয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে রবিবার রাতে ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের ষষ্ঠ পর্বে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এই নেতা এ কথা বলেন। ইন্টারনেটে সম্প্রচারিত এ অনুষ্ঠানের এবারের পর্বের বিষয়বস্তু ছিল ‘৬ দফা থেকে স্বাধীনতা’ শীর্ষক তরুণদের সঙ্গে রাজনীতিক ও ইতিহাসবিদদের ওয়েবিনার। সঞ্চালনায় ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংহ রায়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত অংশ নেন। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ছয় দফা ও ৭ জুন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে ছয় দফা ও ৭ জুনের গুরুত্ব অপরিসীম। ছয় দফা না দিলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হতো না। আর বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত না করতে পারলে সত্তরের নির্বাচনে জয়ী হতে পারতাম না।’ তিনি বলেন, ১৯৬৬-এর এই দিনে মনু মিয়া, মুজিবুল্লাহসহ অসংখ্য শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলার গণমানুষ ছিষট্টির ৭ জুন স্বাধিকার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী হরতাল পালন করেছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিষট্টির ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সম্মিলিত বিরোধী দলসমূহের এক কনভেনশনে বাংলার গণমানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের দাবি সংবলিত বাঙালির ‘ম্যাগনাকার্টা’ খ্যাত ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা দাবি’ উত্থাপন করে তা বিষয়সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু সভার সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ আলী ‘ছয় দফা দাবি’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে ঢাকা বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ‘ছয় দফা’ দলীয় কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।