রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ছেলের মতো আগুনে দগ্ধ হয়েই চলে গেলেন সাংবাদিক বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছেলের মতো আগুনে দগ্ধ হয়েই চলে গেলেন সাংবাদিক বাবা

ছেলের মতো আগুনে দগ্ধ হয়েই চলে গেলেন সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু (৫৩)। গতকাল সকাল সোয়া ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত শুক্রবার ভোরে রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে আগুনে পুড়ে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন নান্নু। আগুনে তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ফ্ল্যাটটির একই কক্ষে গত ২ জানুয়ারিও আগুন লেগেছিল। এতে দগ্ধ হয়ে মারা যান নান্নুর একমাত্র ছেলে স্বপ্নিল আহমেদ পিয়াস। দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিভাগের প্রধান এবং বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু। তিনি পরিবার নিয়ে আফতাবনগরের ৩ নম্বর রোডের বি ব্লকের ৪৪/৪৬ নম্বর পিস তাজমহল অ্যাপার্টমেন্টে দশতলায় নিজ ফ্ল্যাটে থাকতেন। গত ২ জানুয়ারির আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ফ্ল্যাটের মেরামত শেষ হওয়ার পর গত ৩১ মে স্ত্রী শাহান হোসেন পল্লবী ও শাশুড়িকে নিয়ে নিজের ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন নান্নু। মৃত্যুর পর সাংবাদিক নান্নুর লাশ আফতাবনগরে নিজ বাসার সামনে আনা হয়। সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গ্রামের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়ায় তার লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে ছেলে স্বপ্নীলের পাশে তাকে দাফনের কথা রয়েছে। নান্নুর মৃত্যুর ঘটনায় তার স্ত্রী শাহানা হোসেন পল্লবী বাড্ডা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। এদিকে, সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর মত্যুতে ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকুসহ ক্র্যাব নেতৃবৃন্দ গভীর শোক জানিয়ে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। এছাড়া নেতৃবৃন্দ নান্নুর ফ্ল্যাটের নির্মান কাজের ত্রুটির বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের দাবি করেছেন, ওই বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাট থেকে গ্যাসের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হওয়ার অভিযোগ শুনেছি। অভিযোগ তদন্ত করার জন্য তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর