রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে পরিলক্ষিত হয়নি নতুন ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে পরিলক্ষিত হয়নি নতুন ভাবনা

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, ব্র্যাক চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের জন্য নতুন কোন ভাবনা পরিলক্ষিত হয়নি।

গতকাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের (বিআইপি) আয়োজিত জাতীয় বাজেট ২০২০-২১ পরিকল্পনাগত পর্যালোচনা শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিআইপি সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ । হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের এখন পাবলিক হেলথ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। বিশেষ করে কল্যাণ রাষ্ট্র করতে হলে পাবলিক হেলথ ওরিয়েন্টেড নতুন সিটি গড়ে তুলতে হবে। এমন কি গ্রামেও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশে জন-আকাঙ্খার প্রতিফলন আমরা ঘটাতে পারি না। এই যে করোনাভাইরাস মহামারীতে আমরা কি দেখছি, সবখানেই একটা হযবরল অবস্থা। এটা কেন হচ্ছে। তার প্রধান কারণ হল জবাবদিহিতা আর সম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে না পারা। তিনি বলেন, এই যে প্রতি জেলা উপজেলা শহরে পৌরসভা রয়েছে, আমারা সেটাকে কাজে লাগাতে পারছি না। আমরা তাদেরকে অনেক দায়িত্ব দিয়েছি, কিন্তু কোন বরাদ্দ নেই। বলছি তুমি তোমরা নিজের আয়ে চল। কিন্তু এই মহামারীতে তো তাদের আয়ে ধস নেমেছে। তাহলে সেবাটা কিভাবে দেবে। ড. হোসেন জিল্লুর বলেন, আরেকটা বিষয় হলো এই যে, একেকটা শহরে কতগুলো করে কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে, সেগুলোর ব্যবহার বহুবিধ বাড়াতে হবে। শুধুমাত্র বিয়ে আর গান বাজনার অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ না রেখে এগুলোকে বহুবিধ ব্যবহার করতে হবে। এ রকম মহামারীর সময়ে তো সে সব অবকাঠামোও আমরা স্বাস্থ্যসেবার কাজে ব্যবহার করতে পারি। এটা নিয়ে নগর পরিকল্পনাবিদদের ভাবার সুযোগ রয়েছে। দেশটাতে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের এসব কাজ এখনই শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, এবারের বাজেটে মোবাইলে ফোনের ওপর যে নতুন করে চার্জ বসানো হয়েছে, এটা কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নয়য়নের অন্তরায়। বাজেট পাসের আগেই এটাকে সংশোধন করতে হবে। আমরা তো জানি কতজন মানুষ টিভি, ইন্টারনেট আর স্মার্ট ফোনের আওতায় রয়েছে। তাহলে যে বিপুল সংখ্যাক জনগোষ্ঠী প্রযুক্তিগত সেবার বাইরে রয়েছে তাদেরকে কিভাবে নতুন করে এ সেবার আওতায় আনা যাবে, সে নিয়েও ভাবতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই মহামারীতে আমরা শুধু অর্থনৈতিক ধাক্কার কথাই বলছি। কিন্তু হিউম্যান ক্যাপিট্যাল ধাক্কার কথা বলছি না। বহু মানুষ তাদের কাজ, আবাসস্থল থেকে ড্রপআউট হয়ে যাবে। তাদেরকে আবার ফেরাতে হবে। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। তা না হলে আবারো আমরা দরিদ্র দেশেই পরিণত হবো। নতুন করে যারা দরিদ্র হওয়ার ঝুকিতে রয়েছে, তাদের নিয়ে ভাবতে হবে।

সর্বশেষ খবর