রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কঠোর লকডাউন দিন : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মরণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কঠোর লকডাউন চান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কোনো হাসপাতালে শুধু করোনা নয়, অন্য রোগীরাও চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না।

গতকাল সকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব এ দাবি তোলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসা করতে গেলে বলে আগে করোনা টেস্ট করে আসেন। আর করোনা টেস্ট করা সোনার হরিণের মতো। কিডনি, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ জটিল রোগের চিকিৎসাও পাচ্ছে না মানুষ। লকডাউনও চলছে নামেমাত্র। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজনে সারা দেশ এলাকাভিত্তিক কঠোর লকডাউন দিতে হবে। এ নিয়ে সাত দফা সুপারিশও তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত বিএনপির ৫৬ জন নেতা-কর্মী মারা গেছেন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে মোট ১২১ জন। এ ছাড়া দলের চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সেলের তত্ত্বাবধানে সারা দেশে ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী, ঈদ উপহার ও নগদ অর্থ পৌঁছানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এতে সর্বমোট ২ কোটি ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৪০ জন মানুষ উপকৃত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির করোনা পর্যবেক্ষণ সেলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন যুক্ত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, একটি আইসিইউ, একটি ভেন্টিলেটর বা একটি সিলিন্ডার এখন সোনার হরিণ। যখন শুনি ক্ষমতাসীন দলের নেতারা হাসপাতাল হাসপাতালে আইসিইউ বেড বুকিং করে রেখেছেন। অনেককে দেখা গেছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ভালো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলো সাধারণ মানুষের জন্য নেই কেন? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সিলেটের কভিড আক্রান্ত ডা. মইন উদ্দিন চিকিৎসার জন্য একটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স পাননি। তিনি প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। সড়কে, যানবাহনে, অ্যাম্বুলেন্সে, মর্গে এখন শুধু লাশের সারি। সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করা তো সরকারেরই দায়িত্ব। চিকিৎসা ব্যবস্থা হওয়া উচিত সর্বজনীন। সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। চলমান সংকট মোকাবিলায় সব দল, শ্রেণি-পেশাকে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই করোনা পরিস্থিতিকে অবহেলা না করে, ?উদাসীন না হয়ে দেশের সমস্ত মানুষকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজনৈতিক দল, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং যারা চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তাদের সবার একটি সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের ‘বিশেষ বীমা’ ও ‘বিশেষ ভাতা’ প্রদানের দাবিও জানান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর