আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক এলজি আরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিন-চারদিন আগে পরীক্ষা করালেও গত বৃহস্পতিবার তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। তিনি ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ও এলজিআরডি  মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। প্রবীণ এই নেতার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার জামাতা সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার ছেলে বিদেশ যাবে। সে কারণে পুরো পরিবার তিন-চার দিন আগে পরীক্ষা করিয়েছি। এ সময় আমার শ্বশুরকেও (খন্দকার মোশাররফ) টেস্ট করাতে বললে তিনিও টেস্ট করান। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রিপোর্ট পেয়েছি। আমাদের সবার নেগেটিভ আসলেও তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অধ্যাপক হাবিবে মিল্লাত মুন্না আরও বলেন, তবে কোনো উপসর্গ ছিল না। জ্বর-কাশি বা অন্য কোনো উপসর্গও নেই এখনো। আসলে পরীক্ষা না করালে বুঝতেই পারতাম না যে উনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শারীরিকভাবে তিনি সুস্থ আছেন। কোনো জটিলতা নেই। খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন। এর আগের দুটি নির্বাচনে তিনি ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। পরে নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাকে পরাজিত করেই নির্বাচিত হন। মাঝে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান তিনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে খন্দকার মোশাররফ প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। পরে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করলে ২০১৫ সালে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই হন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুলের বিয়ে হয়েছে খন্দকার মোশারফের ছেলে মাসরুর হোসেনের সঙ্গে।