বিশিষ্ট শিল্পপতি যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সফল উদ্যোক্তা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়, ব্যবসায়িক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল সহকর্মী ব্যবসায়ী ও বন্ধুবান্ধবদের অনেকেই হাসপাতালে ছুটে যান। ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, বড় অসময়ে চলে গেলেন এই দেশপ্রেমিক শিল্পোদ্যোক্তা। করোনার সংকট কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার মতো উদ্যোক্তার খুবই দরকার ছিল। এই সংকটকালে তাঁর মতো একজন মেধাবী, চৌকস, জনবান্ধব, দেশপ্রেমিক, সৎ, সাহসী ও দানবীর শিল্পপতির চলে যাওয়া দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। গণতন্ত্র, জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি, অর্থনীতি, গণমাধ্যমসহ রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক জীবনে শিল্পপতি নুরুল ইসলামের অবদান মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ পর্যায় থেকে সবাই শোক জানিয়েছেন এই শিল্পপতির মৃত্যুতে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ সমাজের বিশিষ্টজনেরাও বিশিষ্ট এ শিল্পপতির মৃত্যুতে শোক জানান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে শোক জানিয়েছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন অনেকেই। পৃথক শোক বার্তায় তারা বলেন, তিনি ছিলেন একজন সফল শিল্প উদ্যোক্তা। বহু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী ও দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায়ও অবদান রেখেছেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কর্মক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার জন্য তিনি সর্বমহলে সুনাম অর্জন করেছেন।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন শিল্প খাতে নুরুল ইসলামের অবদান অসামান্য। তিনি মেধা, মনন, পরিশ্রম আর একাগ্রতায় এক এক করে গড়ে তুলেছেন ৪১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এই সঙ্গে তিনি বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নে অপরিসীম ভূমিকা রাখছে। তাঁর মৃত্যুতে শিল্প খাত একজন সফল উদ্যোক্তাকে হারাল। আর নতুন উদ্যোক্তারা হারালেন একজন অভিভাবক বা উত্তম পরামর্শককে। তার মৃত্যুর খবর শুনে অনেকেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেও শোক জানিয়েছেন। শোক জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। ঢাকা চেম্বারের প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ, বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন, নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, কেপিসি ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান কাজী সাজেদুর রহমানসহ আরও অনেকে।