ভার্চুয়াল বিচারব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে সপ্তাহে পাঁচ দিনই আপিল বিভাগে বিচারকাজ চলবে। গতকাল দেশের বিচারিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে (ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে) আপিল বিভাগে মামলার শুনানি শুরু হলে প্রধান বিচারপতি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় ভার্চুয়ালি আপিল বিভাগের এই বসাকে নিয়মিত আদালতের অংশ বলে মত দেন আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা।
প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আপিল বিভাগের আরও পাঁচ বিচারপতি বিচারিক কাজে অংশ নেন। তারা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিক ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান। এ ছাড়া আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বিচারকাজে অংশ নেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনসহ মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে শুরু হলো আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল আদালতের বিচারিক কাজ। এ লক্ষ্যে আপিল বিভাগের মামলার কার্যতালিকায় ২০টি মামলা তালিকাভুক্ত করা হয়। এর আগে রবিবার সকালে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞা বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেখানে সপ্তাহে দুই দিন বিচারকাজ পরিচালনার কথা জানানো হয়। ১৩ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি শুরু হয়। এরপর করোনার কারণে ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি শুরু হলে সব আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ কারণে চার মাস ধরে বন্ধ ছিল আপিল বিভাগের বিচারকাজ। এরপর ১১ মে থেকে অধস্তন আদালতসহ হাই কোর্টের কয়েকটি বেঞ্চে জরুরি মামলার শুনানি শুরু হয় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে। এরপর চেম্বার জজ আদালতেও বিচার শুরু হয়। সর্বশেষ আপিল বিভাগের দরজাও খুলে গেল।