বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

আরও চার ভ্যাকসিনে আশার আলো

প্রতিদিন ডেস্ক

আরও চার ভ্যাকসিনে আশার আলো

করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন আবিষ্কারে এরই মধ্যে বড় জয় পেয়েছে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান। দেশটির অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ আবিষ্কারে সফল হয়েছেন। তবে আরও চার দেশ জানিয়েছে, তারা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে পুরোপুরি সফল হয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : রয়টার্স। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বিশ্বের ১২৫টি গবেষণাগারে এখন করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ চলছে। এগুলোর মধ্যে ফেইজ ওয়ানে ইঁদুর-বানরসহ নানা প্রাণীর ওপর পরীক্ষার কাজ শেষ করেছে ১৫টি ভ্যাকসিন। ফেইজ টু পর্যায়ে নানা প্রাণীসহ মানুষের দেহে স্বল্পমাত্রায় পরীক্ষা চালানো শেষ হয়েছে ১০টি ভ্যাকসিনের। আর ফেইজ থ্রি-তে ব্যাপকহারে মানবদেহে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে চারটি ভ্যাকসিনের। যুক্তরাজ্য : এরই মধ্যে সফল বলে পরিচিতি পাওয়া যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন এক হাজারেরও বেশি মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি ছাড়া তাদের ভ্যাকসিনে কোনো সমস্যা নেই। এ ভ্যাকসিন মানবদেহে করোনা প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এ বছরের মধ্যেই ভ্যাকসিনটি বাজারে ছাড়া হবে। চীন : চীনের আবিষ্কৃত মোট ১৯টি ভ্যাকসিনের মধ্যে মানুষের ওপর ট্রায়াল চলছে ৮টির। অক্সফোর্ডের পর এ ভ্যাকসিনগুলো সবচেয়ে সফল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া চীনা জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের (সিনোফার্মা) ভ্যাকসিনেরও ফেইজ টু’র পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন এটির ফেইজ থ্রি’র কাজ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নাও ফেইজ টু-তে পরীক্ষা শেষ করে ফেইজ থ্রি-তে কাজ শুরু করেছে। তারা তাদের ভ্যাকসিন আগামী বছরের শুরুতেই বাজার ছাড়তে পারবে বলে জানিয়েছে। রািশয়া : রাশিয়ার সেকেন্ড ফার্স্ট মস্কো স্টে মেডিকেল ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন এরই মধ্যে মানবদেহে প্রয়োগের পর্যায় শেষ করেছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে তারা তাদের ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়বে। জার্মানি : ভাকসিন আবিষ্কারে সুখবর জানিয়েছে জর্মানিও। তাদের ভ্যাকসিনের ফেইজ ওয়ান ও টু’র পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন ফেইজ থ্রি’র কাজ চলছে। এরপর ভ্যাকসিনটি বাজারে ছাড়া হবে। জার্মানির বায়োটেকের এই ভ্যাকসিন তৈরিতে সহায়তা করছে চীনের ফোগুন ফার্মা ও নিউইয়র্কের ফাইজার। এ ছাড়া আরও কয়েটি দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) মোট ছয়টি ভ্যাকসিন তৈরি করছে। এর মধ্যে একটি ভ্যাকসিন (কো-ভ্যাকসিন) মানবদেহে প্রয়োগ করে সফল বলে প্রমাণিত হয়েছে। জাপানের এনজেস, ওসাকা ইউনিভার্সিটি ও তাকারা বায়োর উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে একটি ভ্যাকসিন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ইনোভিউ, জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্রের কিইরভ্যাক, কোরিয়ার জেনেস্কিন ও মাল্টিন্যাশনাল সানোফি, চীনের ক্যানসিনো বায়োলজিক্স, রাশিয়ার গামালায়া রিচার্স ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন দেশের গবেষকরা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর