বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

পাপুলের স্ত্রী শ্যালিকাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে কারাবন্দী সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও তার বোন জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দীন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গত ১২ জুলাই তাদের তলব করে নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্রাহককে ঋণ বরাদ্দ করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ মানিল্ডারিং করে বিদেশে পাচার এবং শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানে বক্তব্যের প্রয়োজনের কথা জানানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেলিনা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দুদক আসতে বলেছিল। আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়েছি। গণমাধ্যমে যেগুলো আসছে, তার কোনো সত্যতা নেই। সেলিনা ইসলাম বলেন, পাপুল দেশে রেমিট্যান্সে বড় অবদান রেখেছেন। অনেক শ্রমিক বিদেশে কাজ করছেন। সেগুলো গণমাধ্যমে আসছে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার স্বামী পাপুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি আশা করেন, আইনের মাধ্যমে তার স্বামী মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসবেন। এর আগে গত ২২ জুন একই অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য পাপুল, স্ত্রী সেলিনা, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক। গত ১৭ জুন পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক। পাশাপাশি পাপুল দেশে ফিরলে আর যেন বিদেশে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় কমিশন। জনশক্তি রপ্তানিকারক পাপুলকে গত ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মানব পাচার, অর্থ পাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতের কর্তৃপক্ষ। গ্রেফতারের পর পাপুলকে আদালতে হাজির করলে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর