স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমরা ভালো করেছি কি না তা সাংবাদিক ভাইয়েরা ভালো বুঝতে পারবেন। পরীক্ষায় কত নম্বর পেলেন এটার ওপর ডিপেন্ড করে পরীক্ষা কেমন দিয়েছেন। আমি মনে করি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো নম্বর পেয়েছে। নম্বরটা কী? আমাদের মৃত্যুহার দেড় পার্সেন্ট, যেটা আমেরিকায় ৬ পার্সেন্ট, ইউরোপে ১০ পার্সেন্ট, পৃথিবীরটা হলো ৬ পার্সেন্ট।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় এখন আমাদের মৃত্যুহার পৃথিবীর মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ যত দেশ আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে কম। আরও ভালো সংবাদ হলো, রোগীর সংখ্যা, বিশেষ করে ঢাকা শহরে অর্ধেকে নেমে গেছে। ঢাকায় তিন হাজারেরও বেশি বেড খালি আছে।’ তিনি বলেন, মাঠে কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই ছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনেকে সাহায্য করেছে। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আরও ২ হাজার চিকিৎসক ও ৩ হাজার টেকনিশিয়ান নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। জাহিদ মালেক বলেন, ‘চিকিৎসাব্যবস্থা ভালো হওয়ায় কভিড রোগী কমে গেছে। ঘরে বসে লোকে চিকিৎসা নিচ্ছে। টেলিমেডিসিন যেটা আমরা দিচ্ছি, সেটা খুব ভালো কাজ করছে। চার হাজারের বেশি চিকিৎসক টেলিমেডিসিন দিচ্ছেন। মেডিসিনের যে প্রয়োগ, সেটিও খুব ভালো হচ্ছে। সে জন্য মানুষ ঘরে বসেই সেবা পাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘৭৮টি অক্সিজেন সেন্ট্রাল লাইন আমরা হাসপাতালে স্থাপন করছি, যেটা আগামী এক-দেড় মাসে সব হাসপাতালে লেগে যাবে, যেটা আগে ছিল না।’ এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘পদত্যাগপত্র যেটা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গেছে, এ বিষয়ে আগে আমাদের কাছে সব সিদ্ধান্ত আসুক, তারপর আমরা চিন্তাভাবনা করে, আরও উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’ আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখব, যেখানে প্রয়োজন পরিবর্তনের, আমরা সে বিষয়গুলো অবশ্যই দেখব। আমরা চাই এখানে সুষ্ঠু পরিচালনা হোক, মানুষ সেবা পাক। আমরা তো মানুষের সেবা নিয়েই গত পাঁচ মাস কাজ করে গেছি।’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই করোনার প্রতিষেধক ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। যারা ভ্যাকসিন তৈরি করছে, থার্ড স্টেজে চলে আসছে, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। সবারটাই আমরা মাথায় রেখেছি। চীন থেকে যারা আসছে তারাও যোগাযোগ করেছে। যেটি ভালো হয় আমরা সেটিই গ্রহণ করব। আমরা কখন নেব, কাদেরটা নেব, সেটি সরকারি সিদ্ধান্ত। সে সিদ্ধান্তের জন্য আমরা অপেক্ষা করব।’