শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

অস্ত্র মামলায় জেলহাজতে সাহেদ

দোষ স্বীকার রিজেন্ট এমডির

নিজস্ব প্রতিবেদক

অস্ত্র মামলায় জেলহাজতে সাহেদ

সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার অস্ত্র আইনে করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এদিকে রাজধানীর মেট্রোরেলের শ্রমিকদের করোনার ভুয়া নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়ার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান। গতকাল দেবহাটা আমলি আদালতে সাহেদ করিমকে হাজির করা হয়। এ সময় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার রায় তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

করোনা টেস্ট প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার প্রধান আসামি সাহেদ করিমকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর গ্রামের লাবণ্যবতী নদীর ব্রিজের নিচ থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।

এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-৬-এর এসআই রেজাউল করিম ২৬ জুলাই আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে। পরদিন ২৭ জুলাই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র‌্যাব-৬-এর কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর ৩০ জুলাই সাহেদকে নেওয়া হয় লাবণ্যবতী নদীর ব্রিজে। সেখানে তাকে নিয়ে র‌্যাব সদস্যরা কিছুক্ষণ থাকার পর আবারও তাকে খুলনা র‌্যাব-৬ কার্যালয়ে নিয়ে যান।

এদিকে গতকাল রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ। পরে নিয়মানুযায়ী আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই ইয়াদুর রহমান ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আসামি মিজানুর রহমানকে আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। ২৫ জুলাই মিজানুর রহমানকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। ২৪ জুলাই রাতে গোপালগঞ্জের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার হন মিজানুর। মামলাসূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ জন কর্মীকে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে ২০ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ হাসপাতালের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মেট্রোরেলের একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, টেস্ট প্রতি সাড়ে তিন হাজার করে টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু টেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ায় তাদের কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর