মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

ম্যারাথন বৈঠকের পর সোনিয়াই থাকলেন

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

ম্যারাথন বৈঠকের পর সোনিয়াই থাকলেন

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে বর্তমান সভাপতি সোনিয়া গান্ধী-ই থাকছেন। ছেলে রাহুল গান্ধী ও দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আপাতত এ পদে থাকতে রাজি হয়েছেন। তবে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই দলের নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের বরাতে জানিয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া। কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলের অন্তত ৩০ জন বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা দলটির সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বরাবর চিঠি লেখেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। এ চিঠি গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই দলটির নীতিনির্ধারণী বিষয়ক সর্বোচ্চ উইং ওয়ার্কিং কমিটির এক জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। গতকাল নয়াদিল্লিতে দলটির সদর দফতরে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই দীর্ঘ বাক-বিতন্ডার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রস্তাব উত্থাপন করেন, সোনিয়া গান্ধীকে সভাপতি রাখা হোক। যতদিন না দলের সাংগঠনিক নির্বাচন হচ্ছে। বৈঠক শেষে সোনিয়া গান্ধী বলেন, দলের নেতাদের আচরণে তিনি আহত হলেও এখন দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই বড় প্রয়োজন। তাই আপাতত তিনি সভাপতি থাকবেন। তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য শীর্ষ নেতাদের একটি কমিটি তৈরি করা হবে। বৈঠকের মধ্যে রাহুল গান্ধী সভাপতি পদ গ্রহণের জন্য কোনো আগ্রহ দেখাননি। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পিএল পুনিয়ার বরাতে বার্তা সংস্থাটি জানায়, কমিটির অন্য সদস্যরা বর্তমান সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর প্রতি তাদের আস্থার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। কংগ্রেসের ওই নেতা আরও জানান, নতুন নেতা নির্বাচনের লক্ষ্যে যত দ্রুত সম্ভব আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন বৈঠক ডাকা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত সোনিয়া গান্ধী সভাপতি বহাল থাকবেন। সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থাটির খবরে আরও বলা হয়, নেতৃত্ব নিয়ে উদ্বেগ বা প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও যদি কেউ মনে করে যে নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে সভাপতি বরাবর চিঠি দেওয়ায় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে সেক্ষেত্রে নেতৃত্ব চাইলে যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। দলের সিনিয়র নেতা গোলাম নবী আজাদ, আনন্দ শর্মা, মুকুল ওয়াসনিকের প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর