রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

চিকিৎসায় নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ

পিপিই নিয়েও হাসপাতালে চলছে বাণিজ্য । ইচ্ছামতো টেস্ট ফি । চিকিৎসকের ভিজিট ফি নির্ধারিত নেই । মাসে তিনবার বাড়ে টেলিমেডিসিন ফি । ভুয়া চিকিৎসকের দৌরাত্ম্য

মাহমুদ আজহার ও জয়শ্রী ভাদুড়ী

চিকিৎসায় নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ

দেশে চিকিৎসাসেবার নামে ঘাটে ঘাটে চলছে বাণিজ্য। সেবা নিতে গিয়ে মোটা অঙ্কের বিলের ফাঁদে পড়ছেন কভিড ও নন-কভিড রোগীরা। এক পিপিই ব্যবহার করে দিনভর সেবা দিলেও প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে আলাদা মূল্য। টেস্টের গলা কাটা ফি রাখা হচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয়। চিকিৎসকের নেই কোনো নির্ধারিত ভিজিট ফি। যে যার মতো ফি নিচ্ছেন। মাসে অন্তত তিনবার বাড়ানো হচ্ছে টেলিমেডিসিন ফি। কর্তৃপক্ষের নজর না থাকায় নিয়ন্ত্রণহীনভাবেই চলছে দেশের চিকিৎসাসেবা। এ বিষয়ে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। খসড়া স্বাস্থ্যনীতিতে কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। এ কারণে নানা ফাঁকফোকরে চিকিৎসার নামে একশ্রেণির মুনাফাখোর রমরমা বাণিজ্য করে যাচ্ছে। বাজারে কৃত্রিম ওষুধের সংকট তৈরি করে যাচ্ছেতাই মূল্য নিচ্ছে তারা। এ নিয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘চিকিৎসাসেবার খাতটি বিকশিত হয়েছে লাগামহীনভাবে। তাই একটি শ্রেণি সেবার নামে মুনাফা করছে। দ্বিতীয়ত হলো, চিকিৎসাসেবার সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। এর নেই কোনো আইনি কাঠামো। আমরা এ নিয়ে ২০১৯ সালেই আইন করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তৎকালীন মন্ত্রী আমাদের কাছে অঙ্গীকার করেছিলেন, এ নিয়ে একটি আইন করবেন। তা আজও হয়নি। আজকে ভঙ্গুর চিকিৎসাসেবার জন্য আইনি কাঠামোর দুর্বলতা অনেকটা দায়ী। এ খাতে কেউ কেউ ভালো কাজ করতেও আসেন। কিন্তু পুরো খাতেই অরাজকতার কারণে তা সম্ভব হয় না। এর দায় যেমন অনিয়ম-দুর্নীতি বা মুনাফাখোরদের, অন্যদিকে বড় দায় সরকারের। তারাই মূলত এর নিয়ন্ত্রয়কের দায়িত্বে।’

পিপিই নিয়ে চলছে বাণিজ্য : করোনাভাইরাস মহামারীতে প্রতিদিনই দেশে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কাছে থেকে প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) ফি। চিকিৎসকরা প্রতিদিন একবার করে কভিড-১৯ আক্রান্তদের ভিজিটে আসেন। ওয়ার্ডে ভর্তি সব রোগীকে ওই চিকিৎসক দেখে ব্যবস্থাপত্র নির্ধারণ করে দিয়ে যান। এক পিপিই পরেই চিকিৎসকরা পুরো ডিউটি সম্পন্ন করেন। কিন্তু হাসপাতালের বিলে প্রতিদিন প্রত্যেক রোগীর কাছে থেকে নেওয়া হয় পিপিই বিল। রাজধানীর অভিজাত হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি সব বেসরকারি হাসপাতালেই এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে বনশ্রীর ইয়ামাগাতা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিকাশ দত্ত। তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার মা এ হাসপাতালের এক কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলাম। হাসপাতালের বিলে প্রত্যেকের কাছ থেকে চিকিৎসকের ব্যবহৃত পিপিইর জন্য আলাদা বিল নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের তো এক পিপিই পরেই সেবা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা তো আর পিপিই পাল্টাননি। একইভাবে অন্য রোগীদের কাছে থেকেও পিপিই বিল নেওয়া হয়েছে। শুধু পিপিই নয়, কেবিন পরিষ্কার চার্জ, আয়ার চার্জ সবই আমাদের বিলে আলাদা করে যোগ করা হয়েছে। অথচ একজন রোগী থাকলেও কেবিন পরিষ্কার করতে হতো। আমাদের হাতে লাখ টাকার বিল ধরিয়ে দিয়ে লাভবান হচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’ বেসরকারি হাসপাতালে সরকার রোগী ভর্তির অনুমতি দিলেই শুরু হয় সেবার নামে বাণিজ্যের অভিযোগ আসা। অক্সিজেনের ভুতুড়ে বিল নিয়ে অভিযোগ ওঠে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বেসরকারি হাসপাতালে কোন সেবায় কী বিল রাখা হবে তা নির্ধারণ করে না দেওয়ায় মনমর্জিমতো বিল রাখছেন কর্তৃপক্ষ। একদিকে করোনার আঘাত, অন্যদিকে হাসপাতালের গলা কাটা বিলে দিশাহারা রোগী ও স্বজনরা।

ইচ্ছামতো টেস্ট ফি : বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয় ইচ্ছামতো রাখা হয় টেস্টের ফি। কোন টেস্টের কত টাকা ফি তা নির্ধারণ না করায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। চিকিৎসা করাতে এসে সব খোয়াতে হচ্ছে তাদের। অনেক অসাধু চিকিৎসকের সঙ্গে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চুক্তি থাকে। রোগীপ্রতি কমিশন দেয় তারা। এ জন্য প্রয়োজন না থাকলেও ধরিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য টেস্ট। বিপুল অঙ্কের টাকার টেস্ট করাতে গলদঘর্ম হতে হয় রোগীকে। এসব টেস্টে কোনো সমস্যা না পাওয়া গেলেও অন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে ফের একই টেস্ট ধরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আগের করা রিপোর্ট দিলে এর স্বীকৃত মেলে না অন্য চিকিৎসকের কাছে। তার পছন্দমতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পুনরায় করাতে হয় একই টেস্ট।

অনেক সময় ওই সব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওই টেস্ট করানোর যন্ত্রপাতিও থাকে না। অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে চুক্তিতে তারা টেস্ট করিয়ে আনেন। লাভের ওপর কমিশন দিয়ে চলছে প্যাথলজি ব্যবসা। চিকিৎসকদের ফি নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। নিজের নামের সঙ্গে মনমতো ডিগ্রি লাগিয়ে ফির দাম বাড়ান অনেক চিকিৎসক। কোন পদমর্যাদার চিকিৎসক কত টাকা ফি নিতে পারবেন তা নির্ধারিত না থাকায় একজন অধ্যাপক ৫০০ টাকা ভিজিট নিলেও তার ছাত্র সহকারী অধ্যাপক নিচ্ছেন ১ হাজার টাকা। পদে পদে স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ে চিকিৎসাসেবা নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা তৈরি হচ্ছে মানুষের।

মাসে তিনবার বাড়ে টেলিমেডিসিন ফি : করোনার কারণে হাসপাতালে গিয়ে সেবা নিতে ও দিতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন রোগী ও চিকিৎসকরা। মহামারীর এই সময়ে রোগীদের সহযোগিতা করতে অনেক চিকিৎসক বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টা কোনো ধরনের লাভের আশা ছাড়া মানবিকতার জায়গা থেকে চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। কিন্তু এ টেলিমেডিসিন ঘিরেই জমজমাট ব্যবসা খুলে বসেছে পাঁচ তারকা হাসপাতালগুলো। করোনার কারণে নিয়মিত চিকিৎসায় থাকা অনেক রোগীই চিকিৎসকের পরামর্শ পাচ্ছিলেন না। এ সুযোগে পাঁচ তারকা হাসপাতালগুলো ব্যবসার নতুন ফন্দি এঁটে বসেছে। গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হাসপাতালে ৫০০ টাকা ভিজিট দিয়ে শুরু করে টেলিমেডিসিন সেবা। আগের দিন ফোন দিয়ে সিরিয়াল দিতে হয় রোগীদের। ওই হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা নেওয়া রোগী রোকসানা আক্তার বলেন, ‘আমি ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসকের নিয়মিত তত্ত্বাবধানে ছিলাম। করোনায় হাসপাতালে চিকিৎসক না বসায় টেলিমেডিসিনে সেবা নেওয়ার জন্য সিরিয়াল দিলাম। চিকিৎসক পাঁচ মিনিটের মতো কথা বললেন। এ জন্য হাসপাতাল ফি নেওয়া হয়েছে ৫০০ টাকা। এক সপ্তাহ পর আবার যোগাযোগ করতে বললেন। এক সপ্তাহ পর হাসপাতালে যোগাযোগ করলে বলা হয় ফি ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। উপায়ান্তর না থাকায় ১ হাজার টাকা ফি পরিশোধ করেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিলাম। এক সপ্তাহ পর আবার যোগাযোগ করলে বলা হয়, এখন টেলিমেডিসিন ফি ১৫০০ টাকা। পাঁচ মিনিট রোগী দেখে কোন হিসাবে ১৫০০ টাকা ফি নেন তারা! দেখার কেউ না থাকায় টেলিমেডিসিন সেবার নামে ব্যবসা শুরু করেছে হাসপাতালগুলো।’

ভুয়া চিকিৎসকের দৌরাত্ম্য : প্রাথমিকের গন্ডি না পেরোলেও ভুয়া ডিগ্রি ঝুলিয়ে দীর্ঘদিন রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন রংপুরের রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। রংপুর মহানগরের ধাপ এলাকায় সেবা হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিকও চালান তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে উন্মোচিত হয় এই প্রতারকের মুখোশ। প্রতারণার দায়ে হাসপাতাল সিলগালা করে রফিকুল ইসলামকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং তিন মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মোস্তফা ফার্মেসিতে বসে এলএমএফ (পল্লি চিকিৎসক) ট্রেনিংপ্রাপ্ত এ কে আজাদ নামে এক ব্যক্তি ফার্মেসির দেয়ালে চর্ম, যৌন, অ্যালার্জি, মা ও শিশুসহ সব রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করে সাইনবোর্ড টানিয়ে রেখেছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বেরিয়ে আসে আসল চিত্র। এই ভুয়া চিকিৎসককে ৫০ হাজার টাকা, অনাদায়ে দুই মাসের জেল দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে অব্যাহতি নেন। এসব ভুয়া চিকিৎসকের কাছে সেবা নিতে গিয়ে জীবনঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের।

হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর চিকিৎসাসেবা ছিল সরকারের নিয়ন্ত্রণে। ক্রমাগত যত দিন যাচ্ছিল, সরকার ততই অনুভব করছিল, রাষ্ট্রের যে অর্থনীতি তাতে সবাইকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা অধিদফতরের সামর্থ্য বাড়ানো হয়নি। এ কারণে স্বাস্থ্য খাতের সর্বত্রই অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা। এর ফলে কী হচ্ছে। সরকারি মেডিকেলে ওয়ার্ডবয় ওটি করছে। ভুয়া চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলেও কাজ করছে। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। একটি পরীক্ষার দাম কত হবে নেই এরও কোনো নিয়ন্ত্রণ। সব মিলিয়ে পুরো স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। এ সুযোগে কিছু মানুষ, যারা চিকিৎসক নন, এসএসসি পাস বা ফার্মেসি চালান, তারা চিকিৎসকের নাম নিয়ে ওষুধপত্র দিয়ে যাচ্ছেন। এতে মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। করোনায় আমরা হারে হারে টের পেয়েছি, এই স্বাস্থ্য খাত দিয়ে আমাদের চলবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চার ভাগে বিভক্ত করতে হবে। একটি হবে জনস্বাস্থ্য বিভাগ, যারা করোনাসহ সব রোগের প্রতিরোধে কাজ করবে, রোগের চিকিৎসা করবে। থাকতে হবে মেডিকেল শিক্ষা বিভাগ। প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে সমন্বয় ও গবেষণার জন্য থাকবে আলাদা বিভাগ। অন্য একটি বিভাগ থাকবে পরিবার পরিকল্পনা। আমাদের কল্যাণমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা হলো মুনাফার জন্য। এমন একটি স্বাস্থ্যনীতি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরকে পুনর্বিন্যাস করতে হবে। এটা করতে হবে মানুষের উপযোগী হিসেবে। নইলে ওয়ার্ডবয়রা চিকিৎসা দেবে, ভুয়া চিকিৎসদের দৌরাত্ম্য বাড়বে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউর সাবেক ডেপুটি ডিরেক্টর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুখলেসুজ্জামান হিরো বলেন, ‘চিকিৎসা একটি সেবা। এর নামে ব্যবসা করা যাবে না। বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক করা হয়েছে চিকিৎসাসেবার জন্য। ব্যবসার জন্য নয়। চিকিৎসা-সামগ্রীর জন্য রোগীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, হয়রানি করা বা অন্য কোনো ব্যবসা করা যাবে না। করোনা পরীক্ষার জন্য ফি একেবারেই কমিয়ে দেওয়া উচিত। সম্ভব হলে ফ্রি করাই উচিত। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। তবে সামগ্রিক চিকিৎসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আরও সক্রিয় হতে হবে। চিকিৎসার নামে যারা ব্যবসা করছেন, তাদের অপতৎপরতা বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে। মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশে যে কোনো সংকটে ওষুধের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে ওষুধ মজুদ করে সংকট তৈরি করে দাম বাড়ান। এর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সর্বশেষ খবর