বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নতুন রেকর্ড করেছে। করোনা সংকটের মধ্যেও দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে প্রায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রিজার্ভ হয়েছে। এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে নয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি আগস্ট মাসের ২০ দিনে ১৩৪ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের আগস্ট মাসে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। আগের মাস জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল গত জুনে, ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অন্যদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১ কোটি (৩.৯১ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এ অংক গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। মার্চে দেশে মহামারীর ধাক্কা লাগতে শুরু করার পর এপ্রিলে রপ্তানি আয় কমে মাত্র ৫২ কোটি ডলারে নেমে এসেছিল, যা ছিল রেমিট্যান্সের চেয়েও কম। এ বছর এপ্রিলে গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে রপ্তানি আয় কমেছিল ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি ও এআইআইবির ঋণ সহায়তাও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।