শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

দেশে ধর্ষণের মহোৎসব চলছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের অস্তিত্ব নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠেছে। সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় সারা দেশে ধর্ষণের মহোৎসব চলছে। দুর্বৃত্তদের হাতে পড়েছে প্রিয় মাতৃভূমি এই বাংলাদেশ। কোথাও আজ মা-বোনের কোনো নিরাপত্তা নেই। সরকারি দলের লোকদের হাতে শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব উদ্বিগ্ন হয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। এটা বিরল ঘটনা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ইজ্জত মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে সংগঠনের সদস্যসচিব নিপুণ রায়ের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা শরাফত আলী সপু, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ব্যর্থ সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। লজ্জা থাকলে তাদের আর একমুহূর্ত দেরি না করে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। অন্যথায় বাংলাদেশে এই নষ্ট সমাজ গড়ার অপরাধে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি স্বীকার করেছেন, এর দায় তারা (সরকার) এড়াতে পারেন না।

পারবেন না, পারবেন কোত্থেকে? কারণ আপনারা যে সরকার তৈরি করেছেন, সেই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। গায়ের জোরে বন্দুক-পিস্তল দিয়ে, আগের রাতে ভোটডাকাতি করে বাংলাদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছেন। সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান ‘‘দানব সরকার’’কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ তিনি বলেন, এই সংগ্রাম বিএনপি বা কোনো ব্যক্তির নয়। এই সংগ্রাম বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংগ্রাম। জোর করে ক্ষমতায় বসে থেকে এ সরকার আজ শিষ্টের দমন আর দুষ্টের লালন করছে। এর মাধ্যমে একটি নষ্ট সমাজ তৈরি করছে তারা। এদের প্রতিহত করতে হবে।

বিএনপির এই মুখপাত্র সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘কোন দিকে পালাবে তুমি, কোনো দিকে পথ নেই। অতএব অবৈধ ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাও। তা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমেই তোমাদের বিদায় করা হবে।’

তিনি বলেন, কোনো কিছুই আর এখন এই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, মামলা-হামলা দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই তাদের। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আবরারের খুনিরা এখন জেলের ভিতরে বসে পরীক্ষা দেয়। বিশ্বজিৎকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সারা দেশে প্রতিটি মানুষ লাইভে দেখেছেন সেই নৃশংস খুনের ঘটনা। অথচ সেই খুনের সব আসামি আজ খালাস পেয়ে গেছে। সারা দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ-নির্যাতনের সঙ্গেও জড়িত এই ছাত্রলীগ আর যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। কোথাও কোনো বিচার নেই।

সর্বশেষ খবর