নোয়াখালীতে অস্ত্রের মুখে কিশোরীকে, শরীয়তপুরে শিশুকে এবং নেত্রকোনায় পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
নোয়াখালী : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় সুমন (৩২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ধর্ষক সুমনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন কিশোরীর বাবা। এরপর শনিবার রাতে সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুমন পৌর যুবলীগের বিলুপ্ত কমিটির নির্বাহী সদস্যও ছিলেন।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি কামরুজ্জামান শিকদার বলেন, শুক্রবার রাত ২টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় বসতঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগ নেতা সুমন। পরে মেয়েটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার ধর্ষক সুমনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপরই ধর্ষক সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগে গত শনিবার ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিশির ফকিরের (১৬) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন। শিশির উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসুদেব এলাকার ইদ্রিস ফকিরের ছেলে। সে প্যাসিবিক কেজি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায় শিশির। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম রশিদুল বারী মুঠোফোনে বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিশির পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাকে খুঁজছে পুলিশ।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ৫ সন্তানের জননী (৪৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল সোহান (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, উপজেলার দেওথান গ্রামে শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে। রবিবার বিকালে এ ঘটনায় ওই নারী নিজেই বাদী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই নারীর চাচাতো ভাই জানান, শনিবার ফজরের নামাজ শেষে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় পথ আটকে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে সোহান। স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত সোহানের নামে মাদক, ছিনতাইসহ আরও অনেক মামলা রয়েছে। কিছুদিন আগে এক যুবলীগ নেতাকেও পথ আটকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছিল সে। এদিন শহর থেকে বাড়ি ফেরার সময় এক ধান ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লাখ টাকাও ছিনিয়ে নিয়েছিল সোহান।