বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালনে সক্ষম গণমাধ্যম। তবে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্নমতকে সহ্য করার যে সহনশীলতা, সেটা ধীরে ধীরে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে সংগঠনটির রজতজয়ন্তী উপলক্ষে র্যালি উদ্বোধন করার আগে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে র্যালিপূর্ব সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে দেশের গণমাধ্যম যত স্বাধীন ও শক্তিশালী, সে দেশের গণতন্ত্র তত বেশি শক্তিশালী। দুর্ভাগ্য, আজকে সারা বিশ্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে সে চাপ অনেক বেশি আমরা লক্ষ্য করছি। আমরা দেখেছি, শুধু রাজনৈতিক কারণে অনেক সংবাদকর্মীকে নিগৃহীত হতে হয়েছে, প্রাণ দিতে হয়েছে। তাদের অনেক সময় কারাগারে যেতে হয়েছে। সংবাদপ্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডিআরইউর প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে একটি ব্যতিক্রমী সংগঠন। এটা সংবাদকর্মীদের নিজস্ব সংগঠন এবং এখানে এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক বিভাজনের মধ্যে নিজেদের ডুবিয়ে দেননি। তারা ২৫ বছর ধরে পেশাদার সংগঠন হিসেবে নিজেদের ঐক্য ধরে রাখতে পেরেছেন। এজন্য তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ও রজতজয়ন্তী কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান সরদার, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, রজতজয়ন্তী কমিটির সদস্য শফিকুল করীম সাবু, কাদের গনি চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ইলিয়াস হোসেন, শাহনেওয়াজ দুলাল, মুফদি আহমেদ, নজরুল ইসলাম মিঠু, আবু দারদা যোবায়ের, মোরসালীন নোমানী, রাশেদুল হক, মশিউর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, জিয়াউল হক সবুজ, হাবিবুর রহমান, জাফর ইকবাল প্রমুখ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়িও যুক্ত হয়। শোভাযাত্রাটি সেগুনবাগিচার কার্যালয় থেকে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। এর আগে ২৫ অক্টোবর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল গ্র্যান্ড বলরুমে রজতজয়ন্তী উৎসবের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৫ সালের ২৬ মে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।