সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
পূর্ব এশীয় সম্মেলন

চীন-ভারতের উপস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনা

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

পূর্ব এশীয় দেশগুলোর পঞ্চদশ সম্মেলনে অন্য বিষয়ের সঙ্গে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলো। করোনাভাইরাসের কারণে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেচিয়াং, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকরসহ সদস্য ১৮টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আগামী জুন মাসে অনুষ্ঠিতব্য ৩৬তম আশিয়ান শিখর সম্মেলনকে দেওয়া হলো। সম্মেলনে মিয়ানমার মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় জারি করা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন উপসাগর, কোরিয়া এবং মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতিসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে শিখর সম্মেলনে। আশিয়ান চেয়ারম্যান হিসেবে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন সুয়ান ফুক সম্মেলনের পৌরোহিত্য করেন। ভার্চুয়াল শিখর সম্মেলনে সদস্যদেশ সবাই উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে ‘হ্যানয় ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। এতে বলা হয় পূর্ব এশিয়া গোষ্ঠীর পঞ্চদশ বর্ষ উদযাপনের সময়ের যাবতীয় চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলার জন্য পূর্ব এশিয়াকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। সম্মেলনে আরও কয়েকটি প্রস্তাব গ্রহণের মধ্যে যখন আঞ্চলিক আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়, তখন রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতাবস্থার ওপর যোগাযোগগুলো নির্ভর করছে। এ ছাড়া অবাধ নৌ চলাচল করোনা অতিমারীর মোকাবিলা এবং ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে সহজ লভ্য করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে এখনো রোহিঙ্গারা মিয়ানমার ছেড়ে চলে আসছেন। কক্সবাজারে প্রচুর ভিড় হয়ে যাওয়ায় বাস্তুচ্যুতরা মালয়েশিয়ায় চলে যেতে চাইছেন। কিন্তু মালয়েশিয়া তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে এক মানবিক সমস্যা তৈরি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর