ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গুলজার হোসেন, আসিফ, শিহাব আহম্মেদ ওরফে শিবু, আহসানুল কবির ইমন, তাজুল ইসলাম তানু, জাহাঙ্গীর খাঁ ওরফে জাহাঙ্গীর ও রফিকুল ইসলাম ওরফে আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন। এ ছাড়া খালাসপ্রাপ্ত আসামি হলেন শম্পা। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জাহাঙ্গীর খাঁ ও আহসানুল কবির ইমন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য ৫ আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূঞা জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করে ১৮ অক্টোবর। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্লাহ চৌধুরী। পরদিন ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকায় তার আগুনে পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এটিএম কার্ড দেখে মৃতদেহ শনাক্ত করেন নিহতের ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী। এ ঘটনায় সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। ২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।