বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় তাঁর একটি ভাস্কর্য স্থাপন করবে তুরস্ক সরকার। একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় স্থাপন করা হবে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য। গতকাল সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ওসমান তুরান বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের এবং কামাল আতাতুর্ক তুরস্কের ‘প্রতীক’। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দুই দেশে দুই নেতার ভাস্কর্য স্থাপন করব। শিগগিরই আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল ও চট্টগ্রামেও এ ধরনের কিছু করা যায় কি না, সে বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তুরস্ক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করবে। একই সঙ্গে ঢাকায় আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। তুর্কির বিজনেস ক্যাপিটাল ইস্তাম্বুল আর বাংলাদেশের বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামেও এরকম কিছু করা যায় কি না, সেটি নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক ঐতিহাসিক, আমরা কমন ভ্যালুস শেয়ার করি। আমাদের অনেক কমন কালচার আছে। মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আসবেন বলে সম্মতিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে কীভাবে সাংস্কৃতিক বিনিময় হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তুরস্কের টিআরটি জাতীয় চ্যানেলে মুজিববর্ষ উপলক্ষে কিছু অনুষ্ঠান প্রচার করার বিষয়েও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী জানান, এ ছাড়া দুই দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে কীভাবে প্রশিক্ষণ আদান-প্রদান করা যায় সে বিষয়েও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।