শিরোনাম
বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
খুন দেখানো কিশোরীর ফিরে আসা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত

মারধর ও ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জে কিশোরীকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে মিথ্যা মামলায় পুলিশ তিন আসামিকে মারধর ও ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করেছিল বলে বিচার বিভাগীয় তদন্তে উঠে এসেছে। এ সংক্রান্ত ২৭ পৃষ্ঠার একটি বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদন গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ১৩ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছে আদালত। গত বছরের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুলছাত্রীর জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করেন হাই কোর্টের পাঁচ আইনজীবী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। হাই কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে জীবিত স্কুলছাত্রীকে হত্যা করা নিয়ে আসামিদের স্বীকারোক্তির বিষয়ে বিচারিক তদন্ত করেন নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ হেফাজতে (পুলিশ রিমান্ড) থাকাকালীন তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই শামীম আল-মামুনের বিরুদ্ধে আসামিদের মারধর, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে স্বীকারোক্তি প্রদানে বাধ্য করার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। গত ৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকার নিজেদের বাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছিল ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় জিডি ও মামলা করে কিশোরীর পরিবার। ওই মামলাতে আব্দুল্লাহ, রকিব ও নৌকার মাঝি খলিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ হেফাজত শেষে ৯ আগস্ট তাদের আদালতে হাজির করা হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে আসামিরা জানিয়েছিলেন, অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন তারা। সবকিছু পাল্টে যায় ঘটনার ৫১ দিন পর ২৩ আগস্ট। ওই কিশোরী জীবিত আছে বলে জানায় তার পরিবার। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পুলিশের সামনে হাজির করা হয় তাকে। পরে ওই কিশোরী আদালতে জানায়, এক যুবককে বিয়ে করে নারায়ণগঞ্জেরই বন্দর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর