সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে অ্যাপে

তালিকা অনুযায়ী খুদে বার্তা পাঠাবে সরকার

জয়শ্রী ভাদুড়ী

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে সরকার। করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হলে এই অ্যাপে নিজেদের তথ্য দিয়ে তালিকাভুক্ত করতে হবে।

অ্যাপে নিবন্ধন করলে সরকার টিকা গ্রহীতার প্রয়োজনীয় তথ্য পাবে। টিকা গ্রহীতাও প্রয়োজনীয় আপডেট জানতে পারবেন। স্মার্ট ফোনে অ্যাপ ডাউনলোডের পর ফোন নম্বর ও এনআইডি নম্বর দিয়ে ব্যবহারকারীরা নিজেরা নিবন্ধন করবেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস ডিরেক্টর ডা. হাবিবুর রহমান বলেছেন, মোবাইল ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। অ্যাপটা সবার জন্যই উন্মুক্ত থাকবে। যারা টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন, তাদেরও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমরা যে তিন কোটি টিকা পাব, তাতে দেড় কোটি মানুষকে দুটি করে টিকার ডোজ দেওয়া যাবে। প্রতি মাসে আমরা ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেব। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যারা সামনের সারিতে কাজ করছেন, তারা আগে টিকা পাবেন।’ স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে কোন মাসে কারা বা কোন শ্রেণি-পেশার মানুষ টিকা পাবেন। সেই অনুযায়ী তারা মোবাইল অ্যাপে নিজেদের নিবন্ধন করবেন। তালিকা অনুযায়ী কবে কখন কাকে টিকা দেওয়া হবে, কোথায়, কোন সময় তারা টিকা পাবেন, সেটা খুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী নির্ধারিত কেন্দ্রে হাজির হয়ে তারা টিকা নেবেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যাদের প্রযুক্তিগত দুর্বলতা রয়েছে, তাদের সহায়তা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও জনপ্রতিনিধিদেরও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হতে পারে। স্মার্টফোনে ডাউনলোডের পর ফোন নম্বর ও এনআইডি নম্বর দিয়ে ব্যবহারকারীরা অ্যাপে নিজেরা নিবন্ধন করবেন। অ্যাপে নিবন্ধন করার সময় নাম, জন্ম তারিখ, এনআইডি নম্বর, অন্য কোনো শারীরিক জটিলতা আছে কি না, পেশা ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তি করোনাভাইরাসের দুটি করে ডোজ পাবেন। তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের বিস্তারিতও অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে। প্রতিবেশী ভারতেও টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে এ রকম একটি অ্যাপের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে কভিড-১৯ মোকাবিলায় জাতীয়ভাবে টিকাদানের খসড়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকাদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাকসিন বণ্টন করা হবে।

সে ক্ষেত্রে প্রথমেই রয়েছে কভিড-১৯ রোগীদের সেবায় সরাসরি নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখ সারিতে থাকা কর্মী এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এমন রোগীরা। দ্বিতীয় ধাপে থাকবে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে এমন বয়স্ক মানুষ, শিক্ষাকর্মী, জনপরিবহনের কর্মীরা। তিন পর্যায়ে মোট পাঁচটি ধাপে ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরুর অন্তত দুই সপ্তাহ আগে অ্যাপটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর