চালের দাম নিয়ে ফের চালবাজি চলছে বাজারে। কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সব ধরনের চাল। দেশে মজুদের পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকা ও নতুন করে আমদানির ঘোষণার পরও বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের স্বস্তি ফিরে এসেছে সবজির দামে। বেশির ভাগ সবজি এখন ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ফুলকপি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি পিস ৫ টাকায়। এ কারণে লোকসান দিতে হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা বলছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন সব ধরনের শীতের সবজি ভরপুর। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, মুলা, বেগুন, পাকা টমেটো কোনো কিছুর কমতি নেই। চাল বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির সুযোগ করে দিলেও এখনো বাজারে ভারতীয় চাল দেখা যাচ্ছে না। তবে আমদানির খবরে চালের দাম বস্তাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে কমেছে বলে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এ দাম কমার প্রভাব রাজধানীর খুচরা বাজারে এখনো পড়তে শুরু করেনি। ঢাকার কোথাও কোথাও খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি কেউ দাম কমাচ্ছে না। চাল আমদানি ও বিপণন পর্যবেক্ষণ করতে একটি মনিটরিং সেলও গঠন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। তবে মনিটরিং কোথায় করছে সে কথা কোনো গ্রাহক কিংবা ব্যবসায়ীরা জানেন না।
এদিকে ভারতীয় রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর দেশের বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে পিঁয়াজ। এর প্রভাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি মুড়িকাটা পিঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মান ভেদে কোথাও কোথায় ৪০ টাকা পর্যন্ত পিঁয়াজের কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। রাজধানীর কাঁচা সবজির বাজারে দেখা গেছে ক্রেতাদের স্বস্তি। তবে অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সকালে সবজি নিয়ে এলে বিকালে দাম কমে যায়। ফলে এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে লোকসানে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে এখন সবচেয়ে সস্তা দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি। মাঝারি সাইজের ফুলকপির জোড়া ১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাঁধাকপির দামও প্রায় একই রকম। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিছুদিন আগে প্রতি কেজি নতুন আলু ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন ৪৫ টাকা দিয়ে দুই কেজি পাওয়া যাচ্ছে। এই আলু আগের চেয়ে অনেক বড় এবং মানও ভালো। আগে যে সাইজের আলু ৫০ টাকা কেজি ছিল এখন তা ১৮-২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে পাকা টমেটোর কেজি ছিল ১০০ টাকার ওপরে। এখন তার থেকে ভালো মানের পাকা টমেটো ২০-৩০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এ ছাড়া মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বড় লাউ।