শনিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজশাহী বিএনপিতে ফের আলোচনায় মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী বিএনপিতে ফের আলোচনায় মিনু

কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে জেলা বিএনপির। আহ্বায়ক কমিটি করে দেওয়ার পর কেন্দ্র থেকে যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তাও পার হয়েছে। কিন্তু সম্মেলন করতে পারেনি। আর মহানগরী কমিটির শীর্ষ দুই নেতার নাম ঘোষণার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু মেয়াদ পার হলেও নগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ  পায়নি। তাই কেন্দ্র এবার নগরে আহ্বায়ক কমিটি দিতে যাচ্ছে। 

কেন্দ্রের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, দীর্ঘদিন নগর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা যায়নি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর কারণে। তাই এবার তাকেই আহ্বায়ক করা হচ্ছে নতুন কমিটিতে। শিগগিরই কেন্দ্র থেকে এমন নির্দেশনা জানানো হবে। নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৫ জুলাই জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আবু সাইদ চাঁদকে আহ্বায়ক করে তিন মাসের জন্য কমিটি গঠন করে দেয় দলের হাইকমান্ড। সম্মেলন আয়োজন করতে তিন মাসের জন্য করা কমিটি বছর পার করে দিয়েছে। তবে বেশ কিছু ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি করলেও এখনো একটিরও সম্মেলন করতে পারেনি জেলা বিএনপি। ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে ২১ সদস্যের আংশিক নগর কমিটি ঘোষণা করা হয়। তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে বলা হলেও চার বছরেও তা সম্ভাব হয়নি। ফলে নগরের ইউনিট কমিটিও করতে পারেনি বিএনপি। ফলে এ কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, মহানগরে নতুন কমিটি হবে। আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই কেন্দ্র আহ্বায়ক ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের নাম ঘোষণা করবে। জেলা ও নগর কমিটি নিয়ে রাজশাহী বিএনপির নেতাদের মধ্যে আছে চরম ক্ষোভ ও হতাশা। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ধরে ইউনিট কমিটি না হওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা চরম ক্ষুব্ধ। এর সঙ্গে আবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতা বাড়ছে বিএনপির তৃণমূলের রাজনীতিতে। নগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, দলের নেতাদের মধ্যে মতভেদ থাকার কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা যায়নি। এখন কেন্দ্র যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। জেলা সম্মেলন প্রসঙ্গে আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ বলেন, করোনার কারণে তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ ছিল। ইতিমধ্যেই তাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলাগুলোয় সাংগঠনিক সফর করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছেন। জেলার ১৪টি পৌরসভায় তারা দলীয় প্রার্থী দিচ্ছেন। নির্বাচন শেষ হলেই সম্মেলনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে।

সর্বশেষ খবর