শিরোনাম
বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
সা ক্ষা ৎ কা র

বয়কট নয়, শেষ পর্যন্ত লড়ব : ডা. শাহাদাত

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

বয়কট নয়, শেষ পর্যন্ত লড়ব : ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বয়কট নয়, ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে চসিক নির্বাচনে বিজয়ী হলে নগর নিয়ে পরিকল্পনা এবং সিটি গভর্নমেন্ট নিয়ে তাঁর ভাবনার কথাও জানিয়েছেন হেভিওয়েট এ প্রার্থী। চসিক নির্বাচনে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ার করার কথা জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে অতীতে দেখা গেছে ভোটের দিন মধ্যভাগে এসে নির্বাচন বয়কট করেছে বিএনপি। তবে এ নির্বাচনে আমার ইচ্ছা আছে শেষটা দেখে  যাওয়ার। সরকারের ভোট ডাকাতির বেহায়াপনা ও উলঙ্গপনা বিশ্বকে দেখাতে চাই। তাই শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। নির্বাচনে উদাহরণ সৃষ্টি করব।’ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে বিএনপি মনোনীত এ মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘প্রথমে সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করেছিল। তখন আশা করেছিলাম নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে হবে। কিন্তু সাত দিন ধরে প্রশাসনের অতি উৎসাহী সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ব্যাপকভাবে নিপীড়ন শুরু করেছে। বিএনপির নেতা-কর্মী এবং এজেন্টদের গণহারে গ্রেফতার ও তাদের ওপর হামলা করছে। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যে উৎসাহ তৈরি হয়েছিল তা এখন গভীর খাদে পতিত। নির্বাচন একসময় ছিল উৎসব। বর্তমানে আতঙ্ক। সরকার ও নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি দাবি করে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য। একাধিকবার লিখিতভাবে জানানোও হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থীকে অনৈতিক নানা সুবিধা দিলেও আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এখানে সবার জন্য সমান সুযোগ পুরোপুরি অনুপস্থিত।’

ইভিএম নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বারবার শঙ্কার কথা বলে আসছি। ইভিএম ব্যালট প্যানেল সুরক্ষার কথাও বলেছি নির্বাচন কমিশনকে। না হলে কোনোভাবেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এ ছাড়া ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কেন্দ্রে প্রবেশ কড়াকড়ি করতে হবে।’ চসিক নির্বাচনে জয়ী হলে স্মার্ট নগর গড়তে নিজেদের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে এ চিকিৎসক বলেন, জলাবদ্ধতা, স্বাস্থ্য খাত ও নান্দনিক নগর গড়ার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন পরিচালিত হাসপাতালগুলোয় সেবার পাশাপাশি শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে কৃষিকাজে ব্যবহার উপযোগী সার তৈরি করা, নিরাপদ চট্টগ্রাম গড়তে এলাকাসমূহকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করা, উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত রাস্তার সঙ্গে প্রশস্ত ফুটপাথ গড়ে তোলা, বায়ুদূষণ রোধে ইলেকট্রিক বাস চালু এবং যানজট নিরসনে পর্যাপ্ত ট্রাক ও বাস টার্মিনাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। সিটি গভর্নমেন্ট কনসেপ্ট নিয়ে তিনি বলেন, ‘নগরের উন্নয়নের জন্য সব সংস্থাকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসাটা খুবই জরুরি। এতে উন্নয়নটা খুব দ্রুত হবে। নগরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সিটি গভর্নমেন্ট কনসেপ্ট খুবই জরুরি। নগরের বাস্তব উন্নয়নের জন্য এ কনসেপ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর