সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকায় হাসিনা মোদি বৈঠক হতে পারে ২৭ মার্চ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে অংশ নিতে আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় আসতে পারেন। গতকাল ভারত থেকে ফিরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানানোর পাশাপাশি বলেছেন, দিনক্ষণ এখনো পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ‘তবে ২৬ মার্চ যদি আসেন, সকালের দিকে আসলেন বা দুপুরের দিকে আসলেন, সেক্ষেত্রে বিকাল থেকে আমাদের মূল অনুষ্ঠানটা হবে। সেখানে অংশগ্রহণ করে রাতে হয়তো অফিশিয়াল ব্যাংকুয়েট বা যা করার করব। সেক্ষেত্রে পরদিন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বা উনি যদি ঢাকার বাইরে যেতে চান, আমরা যদি শিডিউল করতে পারি। এরপর তিনি ফিরে যাবেন।’ তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচন। নির্বাচনের সময়ে এগুলো করা কঠিন। যেহেতু মার্চে নির্বাচন, এই সময়ে করা সম্ভব নয়। সেদিক থেকে একটা চ্যালেঞ্জ আছে।’ আরেক প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ইলেকশন হবে। কিন্তু আমাদের চাওয়ার জায়গাটা যদি অপূর্ণ থেকে যায় তাহলে হতাশাও আসে, এটা স্বাভাবিক। তবে আমরা আশাবাদী থাকতে চাই। আমরা বলেছি, দেখো আমাদের দেশে এটা সবার মধ্যে প্রত্যাশা থাকে, যখন সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। আমরা তাদের এও বলেছি, আমি দেশে গেলেও কিন্তু আমাদের দেশের সাংবাদিকরা প্রথম (প্রশ্ন) করবেন। এটা যেহেতু প্রোট্র্যাক্টেড ইস্যু। এটা চট করে কিছু বলে দেবে, নেগেটিভ কিছু বলবে তাও না। তারা পরিমিত পথে কথা বলেছে। তাতে করে তারা যে আন্তরিক না, সেটা বোঝা যায় নাই।

কিছু রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মিয়ানমার :

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা দিন দিন জোরালো হচ্ছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়ার পর মিয়ানমারের নেতিবাচক মনোভাব বিশ্বজুড়ে নিন্দিত হচ্ছে। এ অবস্থায় রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মিয়ানমার কিছু রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে ডিজি পর্যায়ের বৈঠক হবে। প্রত্যাবাসন ইস্যুতে জাতিসংঘ পাশে থাকবে। জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। এখন ডিজি পর্যায়ের বৈঠক হবে। এরপরই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ এ ইস্যুতে বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব দেওয়ার পর তারা বলেছে কিছু রোহিঙ্গা ফেরত নেবে। ইতিমধ্যে ৮ লাখেরও বেশি একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের ভেরিফায়িং তৎপরতা ধীরগতির। মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ভেরিফাই করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘ নতুন করে প্রচেষ্টা শুরু করছে। রাখাইনে ফিরে যাবার পর রোহিঙ্গারা যাতে অনুকূল পরিবেশে থাকতে পারে সে চেষ্টাই চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু রোহিঙ্গা নেওয়া হবে। পরবর্তীতে পুরো প্রক্রিয়া অনুকূলে এলে আরও রোহিঙ্গা ফেরত যাবে।

সর্বশেষ খবর