‘স্বাধীনতা’ ও ‘একুশে’ পদকপ্রাপ্ত স্বনামখ্যাত সাংবাদিক, ভাষাসৈনিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেছেন, বাংলা ভাষাকে নিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অপপ্রচার করেছে। নানা ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার অস্তিত্বের প্রশ্নে কোনো দিন আপস করেননি। তিনি বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পরিকল্পনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে যুক্ত হয়ে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান। সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল হান্নান। সাহিত্যিক-কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনই বাংলাদেশের সব স্বাধিকার আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার এবং পথপ্রদর্শক। তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় নিহিত রয়েছে অসাম্প্রদায়িকতা ও লড়াকু চেতনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও একুশের চেতনাকে ধারণ করেই সব সংকট কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক দিন উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যত বেশি সুপ্রতিষ্ঠিত হবে বাংলা ভাষাও তত বেশি সমৃদ্ধ হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর রয়েছে অসামান্য অবদান। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একটি অবিচ্ছেদ্য নাম। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঙালির হৃদয় থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় ‘আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী’ নামটিও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।