শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

এলডিসি রূপান্তর কৌশলপত্র তৈরি করা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

এলডিসি রূপান্তর কৌশলপত্র তৈরি করা প্রয়োজন

অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর বা তারও বেশি সময়ের জন্য বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী ‘এলডিসি রূপান্তর কৌশলপত্র’ তৈরি করা প্রয়োজন। কারণ এখন মাত্র এই উত্তরণ যাত্রা শেষের শুরু হলো। এই কৌশলপত্রে শুধু সম্ভাব্য প্রতিকূল ফলাফলগুলোর মোকাবিলা করার বিষয়গুলো থাকবে না, বরং বাংলাদেশের জন্য একটি মসৃণ এবং টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা থাকবে। কভিড-পরবর্তী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা এবং প্রোগ্রামগুলো এই রূপান্তর কৌশলপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, উৎপাদনশীল সক্ষমতা তৈরির বিষয়টি বাংলাদেশের  প্রেক্ষাপটে মৌলিক এবং মূল অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। এর ফলে অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য, প্রযুক্তিগত উন্নতি ও শ্রম উৎপাদনশীলতার উন্নতি হবে। দেশীয় বাজার সম্প্রসারণ এবং একত্রীকরণের ওপর ফোকাস এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অবশ্যই ‘এলডিসি রূপান্তর কৌশলপত্র’ তৈরির জন্য গাইড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের রূপান্তরের প্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়া শুরু হয়েছে। যেমন বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই বাণিজ্যের ধাক্কা মোকাবিলার জন্য ব্যবসার বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে শুরু করেছে।  তিনি বলেন, এলডিসি গ্রুপ থেকে কোনো দেশ বেরিয়ে আসার অর্থ মূলত এর উন্নয়ন সাফল্য সম্পর্কিত বৈশ্বিক স্বীকৃতি।  এটি সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতি অন্যান্য দেশের আস্থা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। সুতরাং এলডিসি গ্রুপ থেকে বের হওয়ার পরে আন্তর্জাতিক রেটিং সাধারণত আপগ্রেড হয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহও বাড়ে। দেখা গেছে, এলডিসি গ্রুপ ছেড়ে যাওয়ার পরে দেশগুলোর দেশীয় কর আদায় এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের হার বাড়ে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর