বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

অটিজমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য-প্রযুক্তি-স্বাস্থ্যসেবা

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

অটিজমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্য-প্রযুক্তি-স্বাস্থ্যসেবা

বাংলাদেশের অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের শুভেচ্ছা দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে শক্তিশালী তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা অটিজমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করেছে। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে গত ৬ এপ্রিল জাতিসংঘে যৌথভাবে কভিড-১৯ অতিমারীর সময়ে ‘অটিজম : বৈশ্বিক সাড়াদান ও পুনরুদ্ধারে কীভাবে প্রযুক্তি সহায়তা করতে পারে’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে জাতিসংঘে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কুয়েত, পোল্যান্ড, কাতার ও কোরিয়া স্থায়ী মিশন এবং জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলি বিভাগ ও অটিজম স্পিক্স। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। এই সভায় বক্তব্য প্রদানকালে কভিড-১৯ অতিমারীর সময়ে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারবর্গের জন্য বিশেষ সহায়তা ও পদক্ষেপ গ্রহণ ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বাংলাদেশের উত্তম অনুশীলনগুলো তুলে ধরেন সায়মা। অতিমারীকালে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা বিঘিœত হওয়ার ফলে সারাবিশ্বে অটিজমের শিকার শিশুরা সামঞ্জস্যহীনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শক্তিশালী তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং বিস্তৃত কমিউনিটি-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা অনেক পরিবারকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।’ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে অটিজমের শিকার পরিবারবর্গ যে সব সামাজিক চ্যালেঞ্জ ও নিগ্রহের মুখোমুখি হয় তার উদাহরণ টেনে সায়মা বলেন, ‘এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে টেকসই ও ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন আনতে পেরেছে।’

চলমান পরিস্থিতিতে অটিজমের ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবার যে ধরনের সামাজিক নিগ্রহের শিকার হয় তা মোকাবিলাসহ সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দফতর এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে গত বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি।’

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ ও কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধিদ্বয়। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘প্রতিবন্ধিতা ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারের শিকার ব্যক্তিবর্গের সুরক্ষায় বাংলাদেশে আমরা শক্তিশালী আইন ও বিধি প্রণয়ন করেছি এবং বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধিতা সহায়ক ই-সেবা, রেফারেল সেবা এবং দেশব্যাপী সহায়তা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ।’ অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় বিশেষ করে এই সময়ে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

এ ছাড়াও সুনির্দিষ্ট ইস্যুসমূহ তুলে ধরেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলি বিভাগের পলিসি সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির সহকারী সেক্রেটারি-জেনারেলরা। সায়মা ওয়াজেদ ছাড়াও প্যানেল আলোচনা পর্বে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর