শিরোনাম
শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

সালথায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা পরিদর্শন করেছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল। গতকাল দুপুরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন।

এর আগে ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় লকডাউন পরিস্থিতি দেখতে সালথা উপজেলার এসি ল্যান্ড মারুফা সুলতানা স্থানীয় একটি বাজারে গেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে এসি ল্যান্ডের একজন কর্মচারী এক ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন রাতে বিক্ষুব্ধ কয়েক হাজার মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে সালথা উপজেলা পরিষদে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত দুজন পরে মারা যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল ফারুক খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এস এম কামাল। এ ছাড়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল সাহা, সহ-সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাস্টার, পৌর মেয়র অমিতাভ বোসসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। পরে সালথা উপজেলা পরিষদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আর নব্য রাজাকারের দল হেফাজতে ইসলাম দেশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। মাদরাসায় বসে জঙ্গি কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশকে অশান্ত করার মিশনে নেমেছে তারা। এরই অংশ হিসেবে তারা পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে যাচ্ছে। মাহবুব-উল আলম হানিফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও চালাচ্ছে, তারা রেহাই পাবে না। তিনি বলেন, যারা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি মেনে নিতে পারেনি, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের দোসর। এই জামায়াত, বিএনপি আর নব্য রাজাকারের দল হেফাজতে ইসলাম একত্র হয়ে এ নারকীয় হামলায় অংশ নিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। এরা বাংলাদেশের সংবিধান মানতে চায় না, এরা জাতীয় সংগীত গাইতে চায় না, এরা জাতীয় পতাকারও সম্মান করতে চায় না। এরা বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়। যারা রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। একজনকেও রেহাই দেওয়া হবে না। সমাবেশে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরাও বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর