ঢাকার আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজার ও রাজধানীর ধানমন্ডির রাপা প্লাজায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত চক্রের হোতা সোহরাব হাওলাদারসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোহরাব হাওলাদারের নেতৃত্বে ৫০ ডাকাত ঢাকা ও আশপাশের নয় জেলায় অর্থাৎ টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও বরিশালে সোনার দোকানে ডাকাতি করে আসছিলেন। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি (ঢাকা মেট্রো.) মো. ইমাম হোসেন। এ সময় বিশেষ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে সোহরাব, ডাকাতিতে ব্যবহৃত স্পিডবোটের চালক শাহীন, ডাকাত চক্রের সদস্য দানেশ ফকির ও সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা হয় স্পিডবোটটি। এ নিয়ে নয়ারহাটে ১৯টি সোনার দোকান ও রাপা প্লাজায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হলো। অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, নয়ারহাট বাজারের ডাকাতির মামলার তদন্তের সূত্র ধরে রাপা প্লাজার ডাকাতির রহস্যের জট খুলেছে। ডাকাত চক্রের হোতা সোহরাব হাওলাদার নয়ারহাট বাজার ও রাপা প্লাজায় ডাকাতিতে সরাসরি নিজে নেতৃত্ব দেন বলে সিআইডির কাছে স্বীকার করেছেন। এর আগে লুট করা সোনা গলিয়ে পাত হিসেবে বিক্রি করার অভিযোগে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রহিম, সবুজ রায় ও সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। সোনা ব্যবসায়ী সবুজ রায়ের পুরান ঢাকার ইসলামপুরের বাসা থেকে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ১২ ভরি সোনা ও সোনা ব্যবসায়ী আবদুর রহিমের নয়াবাজারের বাসা থেকে ডাকাতি করা ২৪ ভরি সোনা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ডাকাত চক্রের সদস্য শাহানার বাসা থেকে ডাকাতির সোনা বিক্রির ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪০ টাকা জব্দ করা হয়। সিআইডি জানিয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়ারহাট বাজারে ১৯টি জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি ডাকাতির মামলা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে রাপা প্লাজার রাজলক্ষী জুয়েলার্সে হানা দিয়ে প্রায় ২০০ ভরি সোনার অলঙ্কার লুট করে ডাকাতরা।