ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব নথি তলব করেছে হাই কোর্ট। ১১ অক্টোবর জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রারকে আদালতে সব নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে। ইভ্যালির সম্পত্তি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আদেশের ধারাবাহিকতায় গতকাল বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
অন্যদিকে ধানমন্ডি থানার মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন। এর আগে ধানমন্ডি থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাই কোর্ট। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছে আদালত। এজন্য একটি নোটিস ইস্যু করা হয়। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ (কোম্পানি) ইভ্যালির একজন গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেয়। ওইদিন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানান, ফরহাদ হোসেন নামে একজন গ্রাহক গত মে মাসে ইভ্যালিতে একটি ইলেকট্রনিক পণ্য অর্ডার করেন। নির্ধারিত সময়ে পণ্য না পেয়ে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। ওই গ্রাহক ইভ্যালির অবসায়ন চান। গ্রাহকের আবেদনে বিবাদী করা হয় ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে।