আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আজ ১ অক্টোবর থেকে আমরা সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। টেলিভিশনগুলোর নির্ধারিত ক্রমের ব্যত্যয় হলে বা কোনো ক্যাবল অপারেটর আইন ভঙ্গ করলে বা আইনের অন্য কোনো ব্যত্যয় ঘটালে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ডাউনলিঙ্কের অনুমতিপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটর ও ক্যাবল অপারেটরদের ওপরই আইন ভঙ্গের দায় বর্তাবে। আজ থেকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ গতকাল বিকালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জীবনভিত্তিক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড দেখানো না হলে এবং মন্ত্রণালয়, টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ক্যাবল অপারেটর ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে ক্যাবল লাইনে সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশনগুলোর নির্ধারিত ক্রমের ব্যত্যয় হলে বা কোনো ক্যাবল অপারেটর আইন ভঙ্গ করে নিজেরা বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠান প্রদর্শন করলে বা আইনের অন্য কোনো ব্যত্যয় ঘটালে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ডাউনলিঙ্কের অনুমতিপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটর ও ক্যাবল অপারেটরদের ওপরই আইন ভঙ্গের দায় বর্তাবে এবং আগামীকাল থেকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধ করা হবে। কয়েকদিন আগে সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসসহ বেশ কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আসলে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। বিটিআরসি অনেক অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে নিবন্ধিত এমনকি সরকারি ওয়েব পোর্টালও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এটি ভুল বোঝাবুঝির কারণেই হয়েছে। সেটি দ্রুত নিরসন হয়েছে। আমরা যে তালিকা পাঠাব সে অনুযায়ী বন্ধ করতে হবে।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন পোর্টাল বন্ধ একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনলাইন পোর্টাল অনুমোদন যেমন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং অনলাইন পোর্টাল যেগুলো আসলে গর্হিত কাজ করে কিংবা সৎ উদ্দেশ্যে পরিচালিত নয়, গুজব রটায় কিংবা ভুল সংবাদ প্রচার করে সেগুলো বন্ধের কার্যক্রম চলমান থাকবে। সে চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে খুব সহসা আমরা চেষ্টা করছি আজকের মধ্যেই বা কাল সকালে বিটিআরসিকে তালিকা পাঠাব। আমাদের কাছ থেকে তালিকা পেলে তারা সেগুলো বন্ধ করবে।’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বিএনপির দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।’