শিরোনাম
শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জামিনে বের হয়ে পুলিশ বক্সে বোমা হামলা বাছিরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও পেয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন নব্য জেএমবির সামরিক শাখার কমান্ডার আবদুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছির। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান। এক বছর তিন মাস পর কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে তিনি আবারও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন। নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে গত বছর জুলাই মাসে পল্টনে পুলিশ চেকপোস্টের পাশে রিমোট নিয়ন্ত্রিত বোমা রেখে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটান। বুধবার রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে বাছিরকে গ্রেফতারের পর গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। গতকাল ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে জানা গেছে। সিটিটিসি প্রধান বলেন, গত বছর ২৪ জুলাই রাতে পল্টনের পুলিশ চেকপোস্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঢাকা শহরের এমন আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল। এসব ঘটনার প্রতিটিরই রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে ও জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ পল্টন পুলিশ চেকপোস্টে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল সেই ঘটনার মূল হোতা বাছির। তার বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকায়। তিনি ২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৮ সালে তাকে একবার সিটিটিসি গ্রেফতার করে। এক বছর তিন মাস জেলে থেকে জামিন পেয়ে তিনি আবার নতুন করে জঙ্গিবাদে জড়ান। জামিনে বের হওয়া কতজন জঙ্গি সিটিটিসি নজরদারিতে রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে ধরলে অনেক জামিন পাওয়া জঙ্গি আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। জামিন পাওয়ার পর আমরা প্রথম যে বিষয়টি দেখি যে, কোনো জঙ্গি তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে বা আবার পুনরায় সংগঠনের কাজকর্মে যুক্ত হয়েছে। আমরা যাকে মনে করি নজরদারিতে রাখা প্রয়োজন তাকে নজরদারিতে রাখি।’ কারাগারে যেসব জঙ্গি রয়েছে তাদের নজরদারির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কারাগারে আমরা নজরদারি করতে পারি না, কারণ আমাদের সেই অনুমতি নেই। তবে আমরা কারাগারে নজরদারি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি দিয়েছি। কীভাবে কারাগারে থাকা জঙ্গিদের ডি-রেডিক্যালিজেশন করা যায় এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করব।

সর্বশেষ খবর