শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে নবজাতককে নিয়ে হত্যা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে নিয়ে ১৪ দিনের সন্তানকে বালতির পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নবজাতকের নাম আয়ান ইসলাম। ভৈরব পৌর এলাকার কালীপুর মধ্যপাড়ার ইদ্রিস মিয়া ও শাকিলা বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান আয়ান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে নিজ ঘরে আয়ানকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন শাকিলা। রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন দাদি শামসুন্নাহার বেগম। রান্নার ফাঁকে শামসুন্নাহার দেখতে পান শাকিলা ঘুমিয়ে থাকলেও পাশে আয়ান নেই। আয়ানকে না পেয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করার সময় ইদ্রিস মিয়ার সৎভাই দাউদ মিয়া এসে বাথরুমে গিয়ে বালতির পানিতে আয়ানকে ডুবে থাকতে দেখেন। বালতি থেকে তুলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, ইদ্রিস মিয়া পেশায় টিভি মেকানিক। শাকিলার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায়। দেড় বছর আগে তাদের  বিয়ে হয়। আয়ান তাদের প্রথম সন্তান। ১৪ দিন আগে স্বাভাবিক প্রসব হয়। ইদ্রিসের বসতঘরটি টিনশেডের। ঘরের সঙ্গে যুক্ত বাথরুম। ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দা দিয়ে বাথরুমে আসা-যাওয়া করতে হয়। শিশুটিকে কেউ মায়ের কোল থেকে বাথরুমে নিয়ে বালতির পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে বলে তাদের ধারণা। একমাত্র শিশু সন্তানের এমন মৃত্যুতে হাসপাতালে বারবার অচেতন হয়ে পড়েন শাকিলা। আয়ানের দাদি শামসুন্নাহার বেগম বলেন, ‘আমার চোখের আড়াল হওয়ার সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।’ তবে কে বা কারা এবং কী কারণে নবজাতকের সঙ্গে এমন হিংস্র কাজটি করল এর কিছুই ধারণা করতে পারছেন না তিনি। ইদ্রিস মিয়া বাড়ির বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক স্বপ্না রানী দত্ত বলেন, ‘আমরা নবজাতকটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। পানিতে ডুবে থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে। নবজাতকটির অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে আমরা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি। পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।’ নবজাতক হত্যার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলামসহ এসআই মোস্তাক ও রফিকুল ইসলাম। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, নবজাতকের মৃত্যুটি অস্বাভাবিক ও রহস্যজনক। এ কারণে ময়নাতদন্ত করা হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর