‘দেশে নতুন করে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধির তিন দিন পরই আবার পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এতে জনগণের কাঁধের বোঝা আরও বাড়ানো হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে মানুষের রোজগার এমনিতেই কমে গেছে। অনেকেই এখনো হারানো কাজও ফেরত পাননি। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য পরিচর্যার খরচ বাড়ায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এরই মধ্যে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়বে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বাড়বে আবার সেই নিম্ন আয়ের মানুষই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, সরকার যুক্তি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। তাই এখানে সমন্বয় করা হয়েছে। সেটা ঠিক আছে। নাহলে ভর্তুকি বাড়াতে হতো। আর ভর্তুকি বাড়ালে আবার ঘাটতি বাজেট বেড়ে যেত। যে কারণে সরকার হয়তো দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির হারটা সমানুপাতিক হয়নি। এখানে পরিবহন ভাড়া অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে। এটা কম বাড়ানো যেত। সেক্ষেত্রে আবার পরিবহন মালিকদেরই সুবিধা দেওয়া হলো। পাশাপাশি উপেক্ষিত হলো সাধারণ মানুষ। ফলে, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে। কেননা পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় আরও বাড়বে। ফলে মূল্যস্ফীতিও বাড়বে। এমনিতেই ভোগ্যপণ্যের বাজার খুবই চড়া। বিশেষ করে চাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ডাল, শাক-সবজির বাজার অনেক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে বাড়তির দিকেই আছে। এরই মধ্যে আবার পরিহন খরচ বাড়ল। তিনি বলেন, সরকার চাইলে এখানে পবিরহন ভাড়া আরেকটু কম বাড়াতে পারত। কিন্তু পরিবহন মালিকদের চাপের কাছে সরকার হয়তো নতি স্বীকার করেছে। তাদের চাহিদা মতোই দাম বাড়ানো হয়েছে। এখানে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিতই থেকেছে। চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের অর্থনীতিই কঠিন সময় পার করছে। এ জন্য আন্তর্জাতিক বাজারেও জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে পরিবহন ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরেকটু চিন্তাভাবনা করারও সুযোগ ছিল।